শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বললো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একাধিক জায়গা। প্রথমিকভাবে পুলিশ নীরবতা পালন করলে পরে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামার পরে স্থানীয় পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদের যে শান্তি বিরাজ করছে তা আসলে 'শ্মশানের শান্তি'। মুর্শিদাবাদের বহু পরিবার মালদায় গিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সুতি ও সামসেরগঞ্জ থানার দুই ওসিকে সরিয়ে দিলেন।
{link}
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ ও সুতি থানার ওসিকে সরিয়ে দুই আইসি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা এবিষয়ে বলেন, "জেলার মধ্যে ওই দুই থানা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিংসার জেরে যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন সামশেরগঞ্জ ও ১ জন সুতির। আর তাই ওই দুই থানা পরিচালনার দায়িত্বে আরও দক্ষ ও উঁচু ব়্যাঙ্কের পুলিশ আধিকারিক নিয়োগ করা হল।"প্রশ্ন উঠেছে, দুই ওসিকে সরিয়ে কি সমস্যার সমাধান হবে? সমস্যার মূলে যেতে হবে। অনেকেই বলছেন, ওয়াকফ সংশোধনি আইন বিরোধী আন্দোলন এটা মোটেও ছিল না। এটা পূর্ব আগের থেকে পরিকল্পনা করা একটা ধ্বংসাত্মক সম্প্রদ্ধায়িক উন্মাদনা। কে বা কারা এর পিছনে আছে - তা খুঁজে না বের করতে পারলে ভবিষ্যতে আবার এই ঘটনা ঘটবে। সেই বিষয়ে কতটা তৎপর হয়েছে পুলিশ তা নিয়ে সংশয় আছে।
{link}
বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সামশেরগঞ্জ থানার দায়িত্বে এলেন ইন্সপেক্টর সুব্রত ঘোষ ও সুতি থানার দায়িত্বে ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় রঞ্জন মাজি। ফলে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত এই দুই থানারই গুরুত্ব বাড়ল। কার গুরুত্ব বাড়লো ও কার গুরুত্ব কমলো - সেই প্রসঙ্গ এখন অর্থহীন। এখন যা দরকার তা হলো সমস্যার মূল উৎসে যাওয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সচেষ্ট হলে তাদের কাছ থেকে সমস্যার উৎসে পুলিশ যেতে পারে। শুধুই ওসি বদল নয়, সেই পথেই পুলিশকে হাঁটতে হবে।
{ads}