header banner

শীতের মরশুমে বন্যপ্রানী ও মানুষের সংঘর্ষ এড়াতে বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে সুন্দরবনে মাইকিং

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  শীতের মরশুম শুরু হতেই বনদপ্তরের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্কীকরণ করা হচ্ছে। কারন কার্যত বছরের এই সময়েই চরম পর্যায়ে পৌঁছায় বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাত। গত বছর শীতের সময় জঙ্গল থেকে বহু বন্যপ্রাণী ও হিংস্র জন্তু লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। শীতের মরশুম শুরু হতে জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের বনদপ্তরের তরফ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কীকরণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবনের মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা যেন না জঙ্গলে নামে। 

{link}
সাধারণত শীতের মৌসুমে সুন্দরবনের মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের বাঘের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।"সুন্দরবনের জলে কুমির ও ডাঙায় বাঘ" জীবন জীবিকার টানে বিপদ জেনেও মাছ ধরতে জঙ্গলে যেতে হয় মৎস্যজীবীদের। বনদপ্তর সূত্রের খবর, সাধারণত শীতকালের জঙ্গলে বাঘিনীরা বাচ্চার জন্ম দেয়। ফলে তার রূপ ক্ষুধার্ত ও হিংস্র হয়ে থাকে। তাই প্রায় সময় জঙ্গলে আসা মৎস্যজীবীদের ওপর আক্রমণ করে বসে তারা। এমনকি খাবারের সন্ধানে জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ের মধ্যেও ঢুকে পড়ে তারা। বন্যপ্রাণী ও মানুষকে একই সঙ্গে সুরক্ষা দিতে এবার আগেভাগে মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে সুন্দরবন লাগোয়া লোকালয় গুলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের আধিকারিক মিলন মন্ডল বলেন, শীতের মরশুমে সবচেয়ে বেশি বাঘের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সুন্দরবন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবিদের সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার সময় জঙ্গলে যাতে না নামে। এর ফলে সুন্দরবনের বাঘ আক্রমণের ঘটনা এড়ানো যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
{ads}

news Sundarbans wildlife West Bengal forest সংবাদ

Last Updated :