header banner

রবি ঠাকুরের 'অল্পেতে খুশি'র দামোদর শেঠ-এর প্রানের জয়নগরের মোয়া পেল জিআই স্বীকৃতি

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, জয়নগর:‌ শীতকাল মানেই বাঙালির কাছে কম্বলের ভিতর জড়োসড়ো ভাব। আর শীতকাতুরে বাঙালির ঠান্ডার মরশুমের অন্যতম প্রিয় খাদ্যর তালিকার অবশ্যই একটি অন্যতম পছন্দসই খাদ্য মোয়া। মোয়া ছাড়া যেন শীতকালই অসম্পূর্ন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘অল্পেতে খুশি হবে’ কবিতায় বলেছেন, অল্পেতে খুশি হবে, দামোদর শেঠ কি//মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি” বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত এই মিষ্টান্ন এবার পেল জিআই স্বীকৃতি। আজ সত্যিই সেই মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের জনু এক অন্যতম গর্বের দিন।

{link}
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী ভবনে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জল বিশ্বাস ৭০ জন মোয়ার কারিগরের হাতে জিআই শংসাপত্র তুলে দেন। আগামী দিনে আবেদনের ভিত্তিতে আরও কারিগরদের এই শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়া জয়নগরে একটি মোয়া হাব গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। জিআই স্বীকৃতি মেলায় দেশ ও দেশের বাইরে এবার জয়নগরের মোয়ার চাহিদা বাড়তে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসা যে আরও বিপুল উন্নতি করতে সক্ষম হওয়ার পথ খুঁজে পাবে সেই ধারনাও করছেন অনেকেই।

{link}
স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল জিআই স্বীকৃতির জন্য প্রথম উদ্যোগ নেন। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মোয়ার কারিগরদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জিআই শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, আমি সাংসদ হওয়ার পরেই জিআই স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগ নিই। খাদি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কারণ বাংলার মধ্যে জয়নগর হল মোয়ার আঁতুড়ঘর। এখানকার নামেই মোয়া। শিউলি থেকে কারিগর, ব্যবয়াসীরা জড়িত। এই শিল্পের প্রসার ঘটলে অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে এই এলাকার বাসিন্দারা। ‘জয়নগরের মোয়া’-র খ্যাতি প্রতিটা বাঙালির কাছে অফুরন্ত, সেই মোয়ার স্বাদ সবার হলেও, তার স্বত্ব এখন থেকে শুধুই ‘জয়নগরের’ 
{ads}

news Jaynagar Moa Sweet GI Tag West Bengal সংবাদ

Last Updated :