নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: প্রয়াত বঙ্গ সাহিত্য সমাজের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্যিক ও গোয়েন্দা কাহিনী লেখক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। প্রয়ানকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ষষ্ঠীপদ বাবু। স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন কয়েকদিন পূর্বে। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতিও করা হয়েছিল। কিন্তু জীবনযুদ্ধের লড়াই থেমে যায় আজ সকালে। শুক্রবার সকাল এগারোটা দশ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিশিষ্ট এই লেখকের প্রয়াণে শোকের আবহ বাঙালি পাঠক সমাজ জুড়ে।
{link}
পাণ্ডব গোয়েন্দা, গোয়েন্দা তাতারের মতো বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্রের পাঠকদের কাছে আবির্ভাব ঘটেছিল তার কলমের সৌজন্যেই। ১৯৪১ সালের ৯ই মার্চ হাওড়ার ষষ্ঠীতলার খুরুটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬১ সালে দৈনিক বসুমতীতে প্রকাশ পায় তার প্রথম লেখা কামাখ্যা ভ্রমণ। একই বছরে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার সিস্টার পাবলিকেশন রবিবাসরীয় তেও যোগদান করেন। তবে তিনি লেখক সমাজে মূল পরিচিত লাভ করেন তার কালজয়ী লেখা পাণ্ডব গোয়েন্দার হাত ধরে। তার লেখা প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তা শিশুদের লেখা হিসেবে বিপুল খ্যাতি লাভ করে। পরে তা অ্যানিমেশন আকারে টেলিভিশনেও দেখানো হয়। তার আরও একটি সৃষ্টি, গোয়েন্দা চরিত্র গোয়েন্দা তাতারও পাঠক সমাজে সমাদৃত। ২০১৭ সালে শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি সাহিত্য একাডেমী পুরস্কারের সম্মানিত হন।
{link}
কিছুদিন আগেই বাঙালি পাঠক সমাজের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন বাংলা কমিকসের রূপকার নারায়ন দেবনাথ। তার পথ ধরেই এবার অন্য জগতে পাড়ি দিলেন শিশু সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। থেমে গেল পাণ্ডব গোয়েন্দাদের রোমাঞ্চকর সমস্ত অভিযান। আর তদন্ত করতে দেখা যাবে না, গোয়েন্দা তাতার কেও। আজ বাঙালি পাঠক সমাজের সাথে যোগসূত্র ছিন্ন হল অন্যতম শ্রেষ্ঠ দুই গোয়েন্দা চরিত্রের। তাদের জীবনী লেখা কলমটিই আজ স্তব্ধ… গতিহীন।
{ads}