নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম: শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যা অব্যাহত এবারেও। তবে এবার শুধুমাত্র বিতর্ক নয়, এই বছরে কার্যত সেই মেলা নিয়েই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে কি এবার পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হতে চলেছে মেলা? আর এনিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রবীন্দ্র প্রেমী ও বীরভূমবাসীদের মধ্যে।
{link}
সূত্রের খবর, যে মাঠে প্রতি বছর মেলা অনুষ্ঠিত হত অর্থাৎ, পূর্বপল্লির পৌষমেলার মাঠে শান্তিনিকেতন পৌষমেলা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার পৌষমেলা করুক সেই মর্মে বোলপুর পুরসভাকে চিঠি দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। আর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের এই চিঠি পাওয়ার পরপরই বোলপুর পৌরসভা বোর্ড মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয় প্রথমে উপাচার্য চক্রবর্তীকে পূর্বপল্লী মেলার মাঠ পাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। গুরু পূর্ণিমার ছুটি থাকার জন্য আজ সকালেই পৌঁছে যাবে মেলা করার জন্য মাঠ অনুমোদনের চিঠি। অন্যদিকে পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটির উদ্যোগেও বোলপুর শান্তিনিকেতনের সমস্ত রবীন্দ্র অনুরাগীদের নিয়ে মেলা করার আর্জি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে আবেদন জানানো হবে। আর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা না করলে গত বছরের মতো বোলপুর পৌরসভার সহযোগিতায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি পৌষমেলা করবে ডাকবাংলো মাঠে।
{link}
পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই গত বছরের চেয়ে আরও আড়ে বহড়ে বাড়িয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে বিকল্প পৌষ মেলার। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর ঐতিহ্য মাঠে মেলা না হলে বিকল্প পৌষমেলার ভাবনা শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। কবিগুরু হস্তশিল্পের সম্পাদক আমিনুল হুদা জানান, প্রথমে উপাচার্যকে মেলা মাঠ যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে অন্যথায় বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে বিকল্প মেলা হবে।তবে এবার প্রত্যেকের মধ্যেই আশা রয়েছে মেলার আয়োজন নিয়ে। বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন পর্না ঘোষ জানান-পৌরসভার বোর্ড মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রথমে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে মেলার মাঠটি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে। অনুমতি না পাওয়া গেলে রাজ্য তথা বোলপুর শান্তিনিকেতনবাসীর কথা মাথায় রেখে বিকল্প মেলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। যদিও এ সপ্তাহেই মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের আভ্যন্তরীণ সভা রয়েছে।
{ads}