বুধবার ডোমজুড়ে রুগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান হিসাবে তার কাজ শুরু করলেন তৃনমূল নেতা কল্যান ঘোষ। আজ ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে কোভিড যোদ্ধাদের হাতে পুস্পস্তবক ও মেমেন্টো তুলে দিয়ে সন্মাননা প্রদান করেন তিনি। সন্মাননা প্রদানের পর তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময়েই মানুষের পাশে আছেন। হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের এভাবেই অসুস্থ মানুষের পাশে থেকে লড়াই করে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি সামনের একুশের ভোটে জয়লাভ করলে হাসপাতাল ও হাসপাতালের চারপাশে যে সকল সমস্যা আছে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডোমজুড়ের অন্যতম পরিচিত তৃনমূলের রাজনৈতিক মুখ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই যোগদান করেছেন বিজেপিতে। যার ফলে যে সমস্ত শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল তাই আবারও পূর্নতা লাভ করছে ধীরে ধীরে। ২০১১ থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল রাজীব ব্যানার্জী ও কল্যান ঘোষের মধ্যে। ২০১১-র ভোটে একদম শেষ মুহুর্তে কল্যান ঘোষের যায়গায় দলের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা করা হয় রাজীব ব্যানার্জীর। সেই থেকেই সূত্রপাত। এখন রাজীব ব্যানার্জি দল ত্যাগ করায় কার্যত সেই যুদ্ধ পূর্নতা লাভ করল। তাই রাজীব ব্যানার্জি দল ত্যাগের পরেই একেবারে কোমর বেঁধে ডোমজুড়ের ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন কল্যান ঘোষ। অধিকাংশ জনগনেরই মতামত এবারে ডোমজুড় থেকে ঘাসফুলের প্রার্থী হিসাবে কল্যান ঘোষের নাম ঘোষনা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যার ফলে যুদ্ধ যে কার্যত সাপে-নেউলে হতে চলেছে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হবেনা। যদিও এখানে কে যে সাপ আর কেই বা নেউল তা বোঝা যাবে ভোটের ফল প্রকাশের পরেই। প্রথমে নন্দীগ্রাম আর এখন ডোমজুড়, এই দুই কেন্দ্রই কার্যত ২১-এর নির্বাচনের প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে উঠছে পদ্ম ও ঘাসফুলের শিবিরের কাছে।
{ads}