শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : অনেকটা রসিকতা করে বিরোধিতা বলেন, তৃণমূলের (TMC) অবস্থা এখন অনেকটা যদুবংশের মতো। নিজেরাই নিজেদের হত্যা করে শেষ হয়ে যাবে। বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে তৃণমূল নেতা বায়তুল্লাহ শেখ খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিহার থেকে সাগর শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন বীরভূম পুলিশের আধিকারিকরা। অভিযুক্ত নেপালে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
{link}
পুলিশের দাবি, ধৃত সাগর শেখ নিহত বায়তুল্লাহ শেখের আত্মীয়। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বীরভূমের মল্লারপুর থানার বিষয়ী গ্রামে খুন হন তৃণমূল নেতা বায়তুল্লাহ। ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী ওই পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান কর্মাধ্যক্ষ। ওই দিন সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বায়তুল্লা। তখন দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে লক্ষ্য করে ৩টি বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় সেই রাতেই স্থানীয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
{link}
তদন্তকারীরা দাবি করেন, বায়তুল্লার অবস্থান সম্পর্কে দুষ্কৃতীদের খবর দিচ্ছিলেন বসির শেখ নামে সত্তরোর্ধ ওই বৃদ্ধ। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে খুনের পিছনে রয়েছে বায়তুল্লাহেরই আত্মীয় সাগর শেখ। এর পর সাগর শেখের অবস্থান নিয়ে তদন্ত শুরু করে বীরভূম পুলিশ। সোমবার তাঁকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এলাকা দখলের লড়াই থেকেই এই খুন। এলাকায় বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন বায়তুল্লাহ। তাই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে চেয়েছিল বিরোধী গোষ্ঠী। পরিকল্পনা ছিল, খুনের পর নেপালে গিয়ে কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকবে তারা। তার পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে ফিরবে গ্রামে।
{ads}