header banner

শীতঘুম ভেঙে ফের পুরনো ছন্দে ক্লাসরুম

article banner

ধুলো মাখা বেঞ্চ, নিঃশব্দ একের পর এক প্রহর, নেই ছাত্রছাত্রীর কোলাহল, নেই শিক্ষকের বকুনিও- শেষ কয়েকমাস যাবৎ এই ছিল শহরের প্রতিটা স্কুলের ছবি। সপ্তাহে সাত দিন কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকা স্কুলগুলি পরিণত হয়েছিল নৈশব্দপুরিতে। করোনার দাপটে ঘরে সময় কাটাতে কাটাতে অতিস্ট হয়ে উঠেছিলেন শিক্ষার্থী সহ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। অপেক্ষা করছিলেন কবে আবার দিনের শেষে ফের বেজে উঠবে ছুটির ঘণ্টা আর সবাই দৌড় লাগাবে গেটের দিকে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সব আগের মতো না হলেও প্রায় ১১ মাস পর আজ থেকে খুলছে স্কুলের দরজা। কিন্তু সবাই বাধা কঠিন কোভিড প্রোটকলের বেরা জালে। করোনা বিধি নিষেধকে মাথায় রেখে ঠিক কি কি উপায় অবলম্বন করা হয়েছে তার ছবি দেখা গেল হাওড়া শহরের হাওড়া যোগেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলে।

 
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। বিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই করা হচ্ছে থার্মাল চেকিং। সাথে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং প্রত্যেকের হাথে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে, তারপরেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল প্রাঙ্গণে দুরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল গোল দাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থনার সময় প্রত্যেককে নিয়ম অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে দুরত্ব বজায় রেখেছে। এছাড়াও ক্লাসরুমের ছাত্রীদের বসার বেঞ্চের মধ্যে রাখা হয়েছে একটি নির্দিস্ট ব্যাবধান। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বললেন যে সবরকমের কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে। যদি কারো সর্দি, কাশি, জ্বর থাকে তাহলে তাকে এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ে আসতে মানা করা হয়েছে, সে তার দরকার মতো ক্লাসটিচার বা তার যে বিষয়ে সমস্যা হবে সেই শিক্ষিকার সাথে কথা বলে নিতে পারবে। এছাড়াও তিনি বলেন স্কুলে অতিরিক্ত মাস্কের ব্যাবস্থা আছে, যদি কোন কারনে কেউ মাস্ক ছিরে ফেলে বা হারিয়ে ফেলে তাহলে তাকে সেই মুহূর্তের জন্য মাস্ক দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি ছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তিনি পরামর্শ দেন যে এই মুহূর্তে কেউ যেন টিফিন কারো সাথে ভাগাভাগি করে না খায়, অনেক দিন পর পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে বলে আলিঙ্গন যেন না করে।


দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ হলো অবশেষে। এই ১১ মাস আমাদের জীবনে এনেছে অনেক পরিবর্তন। দিয়েছে এক নতুন জীবন উপহার স্বরুপ, “নিউ নরম্যাল লাইফ”। আর তাকেই মেনে নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলা। যে ঝড় উঠেছিল একদিন, এখন তা ধীরে ধীরে থিতিয়ে পড়ছে।তবে কি আসা করা যেতে পারে আবার আমরা ১১মাস আগের জীবন ফিরে পেতে চলেছি? হয়তো এখনো অনেক খড়কুটো পোয়ানো বাকি কিন্তু তা বলে অসম্ভব নয়।    

   

  
 

{ads} 

Reopening Schools West Bengal Schools Lock down Corona Virus Pandemic Situation Howrah Jogesh Chandra Girls School Howrah West Bengal India

Last Updated :