শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্যের কাছে 'অপরাজিতা বিল' (Aparajita Bill) ফেরত নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। অত্যন্ত অত্যন্ত আপত্তিকর এবং নিন্দনীয় কাজ করা হয়েছে। নারী সুরক্ষার জন্য, মহিলাদের উপরে অত্যাচার চালানো লোকজনদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে এই বিল এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। ধর্ষক এবং নারী নির্যাতনকারীদের মনে ভয় ধরাতে বারবার অপরাজিতা বিলে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। যে বিলটা পুরো ভারতের কাছে মডেল হয়ে থাকবে। কিন্তু সেই বিলেই অনুমোদন না দিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি (BJP) নিজেদের দ্বিচারিতার মুখোশটা খুলে ফেলল বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের মুখপাত্র।
{link}
তাঁর কথায়, ‘এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে এই বিজেপি নারী নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিতে প্রস্তুত নয়। কারণ এদেরই সাংসদরা শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত - তাঁদের পাশে নিয়ে বসে থাকে। এদের রাজ্যগুলিতেই পরপর ধর্ষণ খুন হতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের স্বার্থে, মা-বোনেদের স্বার্থে ভারতের মধ্যে নজিরবিহীন যে বিল পাশ করিয়েছিলেন, তাতে অনুমোদন না দেওয়ায় বিজেপির দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে গেল।’ এমনিতে গত বছরে অগস্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে সেপ্টেম্বরে রাজ্য সরকার অপরাজিতা বিল পাশ করিয়েছিল। আরজি কর ঘটনার পরে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
{link}
সেই পরিস্থিতিতে ওই বিল পাশ করে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকার যে কড়া অবস্থান নিচ্ছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। বিলে রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ। রাজভবনের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অপরাজিতা বিলের মাধ্যমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় যে সব পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে কেন্দ্র। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারার আওতায় ধর্ষণের শাস্তির যে সব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত 'অত্যধিক কঠোর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ' বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
{ads}