header banner

চার বছর ভবঘুরে অবস্থায় কাটানোর পর বকখালি থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাড়িতে ফিরছে সামন্ত

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, ফ্রেজারগঞ্জ: স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে চার বছর পর বকখালি থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাড়িতে ফিরতে চলেছেন এক ভবঘুরে। মানসিক সমস্যার কারণে হঠাৎই একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা, আর ফেরা হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে বকখালীতে চলে আসেন বছর ত্রিশের যুবক সামন্ত পাহান। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বকখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করত সে। এলাকার মানুষজন তার ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। বকখালীর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় সে থাকতো। এই ঘটনা বনকর্মীদের নজরে আসে। এরপরই বনদপ্তরের কর্মীরা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অবশেষে চন্দ্রনাথ বণিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে রবিবার বাড়ি ফিরল বছর ত্রিশের যুবক সামন্ত পাহান।

{link}
দিন দশেক আগে বকখালি বনদপ্তরের কর্মীরা চন্দ্রনাথ বণিক ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফাউন্ডার মেম্বার অভি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই শুরু হয় সামন্তের ঠিকানা শুরুর কাজ। চন্দ্রনাথ বণিক ফাউন্ডেশন এর ফাউন্ডার মেম্বার অভি দাস ওই ভবঘুরের সঙ্গে কথা বলে তার নাম এবং ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন। কোনরকমে নামটুকু বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে পারেনি সামন্ত। এরপরেই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফাউন্ডার মেম্বার অভি দাস উদ্যোগ নিয়ে ওই ভবঘুরেকে তার নিজের কাছে রাখেন এবং তার চিকিৎসা করান। দশ দিন ধরে সামন্তের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অবশেষে তার ঠিকানা জানতে পারেন অভিভবাবু। সামন্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানা এলাকায়।এরপরই ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় হিলি থানার সঙ্গে। অবশেষে পাওয়া যায় সামন্তের পরিবারের খোঁজ।

{link}
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার অন্তর্গত জামালপুর গ্রাম থেকে বছর ত্রিশের যুবক সামন্ত পাহানের মা লাবনী পাহান ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় সামন্তকে নিতে আসেন। ছেলেকে পেয়ে যথেষ্ট খুশি তিনি। চন্দ্রনাথ বণিক ফাউন্ডেশন এর ফাউন্ডার অভি দাস এবং ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ওসি শুভেন্দু চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা সামন্তকে ফিরিয়ে দেন তার মায়ের কাছে। দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে বকখালী থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরলো ভবঘুরে সামন্ত। ফিরে পেল তার নিজের পরিবারকে। 
{ads}

news South 24 Paragana West Bengal সংবাদ

Last Updated :