শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : আগেরবার সিবিআই (CBI) আর এবার ইডি খুবই তৎপরতার সঙ্গে সব শুরু করে। পরে কোনো আজ্ঞত কারণে আবার চলে যায় শীতঘুমে। ফলে কখনোই কোনো অপরাধকে ওরা চিহ্নত করতে পারে না। এবারও হয়তো তাই হবে। আবার বেল পেয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়বে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সোমবার বিধায়ক তার মোবাইল দুটো পুকুরে ছুঁড়ে ফেললেও তা পুকুরে পরে নি। তা চলে এসেছে ইডির হাতে। আর ওই দুটো মোবাইলেই লুকিয়ে আছে গুপ্তধন।
{link}
২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধায়কের কান্দির বাড়ি গিয়েছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। রীতিমতো চলে চিরুনি-তল্লাশি। আর সেই তল্লাশির ফাঁকে নাটকীয় মোড়। জীবন ছাদে উঠে নিজের সর্বক্ষণের ব্যবহারের দু’টি মোবাইল ফোন তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ওই পুকুরেই। এরপর দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে, কাদা-জল ঘেঁটে দু’টি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। তার পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল থেকে উদ্ধার কল রেকর্ড।
{link}
সেখান থেকেই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছিল তারা। সামনে এসেছে সেই তথ্য। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে জনৈক চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে বিধায়কের সংলাপ। তাতে স্পষ্ট যে চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে তাকে চাকরি দেন নি। চাকরি প্রার্থী তার থেকে টাকা ফেরৎ চাইছে। তিনি তাকে হুমকি দিচ্ছে। বলছেন অর্ধেক টাকা তো দিয়ে দিয়েছি। বাকিটা আস্তে আস্তে দেবো। তারপরেই তাকে রীতিমত ধমক দেয়। এখন প্রশ্ন এই কল হাতে আসার পরেও কি ইডি কিছু প্রমাণ করতে পারবে?
{ads}