ছেলের দলবদলের প্রতিক্রিয়ার ছায়া বাবার ওপরে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শিশির অধিকারিকে। সেই পদে নিয়োগ করা হল অখিল গিরিকে। এতদিন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির পিতা শিশির অধিকারি। শুভেন্দু দল ত্যাগের পর থেকেই অধিকারি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নানান মতবিরোধ দেখা যাচ্ছিল দলে। এবার চেয়ারম্যান পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল শিশির অধিকারিকে। অখিলবাবু ছিলেন রামনগরের বিধায়ক এবং ডিএসডিএ-এর চেয়ারম্যান।তাকে নিয়োগ করা হল শিশির অধিকারির পরিবর্তে। দলের অন্দরমহলের ভাঙ্গন ধরার পর থেকেই দলের কর্মরতদেরও পরিবর্তন লক্ষনীয় বিষয় হয়ে উঠেছে।
অখিলবাবুকে বিধায়ক ও চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি ,ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে তরুণ জানাকে। তিনি ছিলেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। ওই পদের পাশাপাশি তাকে নতুন করে ভাইস চেয়ারম্যানের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। অখিলবাবুর ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকেও দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।তাকে কাঁথি পুরুসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
তবে কী ছেলের দল পরিবর্তনের কারনেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দলের এই বয়জ্যেষ্ঠ নেতাকে? রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। শুভেন্দুর দল ত্যাগের ক্ষোভ কী তার বাবার উপরেই উগরে দিলেন দলের কর্মকর্তারা? এইরকমই আরো অনেক প্রশ্ন ঘিরে ধরছে রাজনৈতিক মহলকে। এর পর শিশির অধিকারীর পদক্ষেপ কি হতে চলেছে, সেই নিয়েও জল্পনা দেখা দিয়েছে মানুষের মনে। এভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও কি তিনি দলেই থেকে যাবেন নাকি দল ছেড়ে যোগ দেবেন পদ্মের শিবিরে। এখনও কোন কথার উত্তরই স্পষ্ট নয়। শুভেন্দু অধুকারী দল ত্যাগ করার পরেও তিনি দল ছেড়ে যাবেন না বলেই জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তার দলই তার প্রতি এইরূপ মনোভাব দেখিয়ে তাকে দল ছাড়তে বাধ্য করার পথে ঠেলে দিচ্ছে? অনুমান করা কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।
{ads}