নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: আদালতের নির্দেশে চাকরী 'বাতিল' ১৯১১ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর। আর ঐ তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বুল্টি মালিকেরও। ঘটনাচক্রে বুল্টি পাত্রসায়েরের নারায়ণপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আশীষ মিদ্যার ভ্রাতৃবধূ। গত ৪ জানুয়ারী 'আশীষ মিদ্যা নিজের বৌমাকে দূর্ণীতি করে চাকরী পাইয়ে দেওয়া নারায়নপুর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে মানছিনা, মানবোনা' বলে পোষ্টারও পড়েছিল। যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত বাঁকুড়ায়।
{link}
গত শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে 'বাতিল' ১৯১১ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নিজের এতো দিনের কর্মক্ষেত্র ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলেই ছিলেন বুল্টি কর্মকার। তিনি আমি কাউকে টাকা দিইনি। তবে 'ওরালে' ৫ আর 'এমনিতে ৪০' পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তিনি। ছোটো গোবিন্দপুর এস.এন পাঁজা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিক আহমেদ বলেন, পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের সময়ে বুল্টি মালিক এই স্কুলে নিয়োগ হন। ওনার ব্যবহার যথেষ্ট ভালো। সরকারীভাবে এখনো কোন নির্দেশ পাইনি। তবে উনি চলে গেলে স্কুলের চাবি খোলা থেকে বন্ধ সহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর অন্যান্য যাবতীয় কাজ তাঁদেরই ভাগাভাগি করে করতে হবে বলে তিনি জানান। আন্দরে কি লুকিয়ে রয়েছে আরও বড়ো দুর্নীতি? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
{ads}