নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছিলো হোয়াটসঅ্যাপ। আর তা চালু করতে গিয়েই প্রতারকদের কবলে কলেজ ছাত্রী। একাউন্ট থেকে উধাও চুয়াল্লিশ হাজার টাকা। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়ার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
{link}
হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের বাসিন্দা বিনোদ কেডিয়া। গত সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন মোবাইলে তার হোয়াটস আপ খুলছে না।বিষয়টি তিনি জানান তার মেয়ে মেঘা কেডিয়াকে।কলেজ ছাত্রী মেঘা বাবার মোবাইল নিয়ে দেখেন ঘটনাটি সত্যি। তখন তিনি গুগল থেকে হোয়াটস আপ কাস্টমার কেয়ার নম্বর বের করেন। কিন্তু সেই নম্বরটি ছিলো প্রতারকদের নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করতে প্রতারকরা জানায় হোয়াটস আপ চালু করতে গেলে দশ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। তাই রাজী হয়ে যায় মেঘা। তখন প্রতারকরা বলে তাকে এনি ডেস্ক আপ ডাউনলোড করে সেখান থেকে পেমেন্ট করতে হবে। সেইমতো আপ ডাউনলোড করে মেঘা। আর তখনই মোবাইলের ডেটা চলে যায় প্রতারকদের হাতে। পাসওয়ার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার আগেই প্রতারকরা দশ টাকার বদলে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা বসিয়ে নেয়। আর পেমেন্ট বটন প্রেস করতেই একাউন্ট থেকে উধাও টাকা।
{link}
এরপর প্রতারিত হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ী হাওড়া সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। সেখানে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ সম্রাট মুখার্জী জানান হোয়াটস আপের কোনো কাস্টমার কেয়ার নম্বর নেই। এধরনের নম্বর থাকলে তা ভুয়ো। এটা অনেকেই জানেন না তাই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। আর অচেনা কেউ ফোন করে কোনো আপ ডাউনলোড করতে বললে তা করা উচিত নয়। এসব বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
{ads}