header banner

নিষেধাজ্ঞায় মান্যতা, বিপাকে কারিগরেরা

করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এবং পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন আতশবাজির কারিগরেরা। তারা হাইকোর্টের এই নিষেধাজ্ঞাকেই চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই আপিলকেই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। হাই কোর্টের এই রায়কেই অনুমোদন দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন আতশবাজির কারিগরেরা। {ads}
সারাবাংলা আতশবাজি উন্নয়নের চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ্যের কাছাকাছি কারিগর আতশবাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তারা প্রত্যেকেই সারা বছর ধরে দীপাবলীতে বেচাকেনার জন্যে অপেক্ষায় থাকেন। এই বছর তারা  প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তাই আতশবাজিতে  নিষেধাজ্ঞার ফলে কারিগরেরা ভয়ঙ্কর আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়বে। এতে সরকারের প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা লোকসান হবে এবং তাছাড়াও এই ব্যাবসায় তারা মহাজনদের থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে থাকেন। ফলত, ব্যাবসার অবনতিতে শোচনীয় অবস্থা তৈরী হবে প্রত্যেকেরই। তাই, এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বাবলা বাবু প্রত্যেক কারিগরকে ২ লক্ষ্য টাকা সাহায্য দেওয়ার জন্যে মূখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। 
করোনার মতো ভয়ঙ্কর অতিমারী ও পরিবেশ দূষণ রোধের প্রচেষ্ঠায় রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলছে। কিন্তু সবটুকুর মাঝেও যে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হল প্রায় ৪০ লক্ষ্য কারিগরের রুজি রোজগারে ব্যাঘাত। তাই অনুমান করা যায়, আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা পরিবেশ দূষণ রোধে বড় ভুমিকা পালন করলেও কোণ ঠাসা হয়ে থেকে যেতে পারেন আতশবাজির কারিগরেরা। {ads}

Supreme Court order on banning fire crackers High Court Ban on Fire-Crackers Labour condition economy West Bengal

Last Updated :