মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বভাব মতোই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেরও রাজনীতি করছেন। আজ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক সম্পর্কিত প্রেস কনফারেন্স প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই তার প্রাক্তন দলনেত্রীকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসনের ওপর মুখ্যমন্ত্রীর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। এবার শুভেন্দুকেই রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বলে ঘোষনা করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
{link}
উল্লেখ্য বিষয় আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কোভিড সম্পর্কিত বিষয়ে জেলাশাসকদের সাথে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই বৈঠকের পরেই নবান্নে প্রেস কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন অপমান হয়েছে তাকে। বৈঠকে ডেকেও বলতে দেওয়া হয়নি কোন কথা। এই প্রসঙ্গেই টুইট করে এই কথা লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
{link}
গত ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু যোগ দেন বিজেপিতে। দীর্ঘদিন মমতার ঘনিষ্ঠবৃত্তে থাকায় শুভেন্দু দলনেত্রীকে চেনেন হাতের তালুর মতোই। মমতার সেই স্বভাবের কথাই এদিন টুইটে তুলে ধরলেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, প্রশাসনের ওপর মুখ্যমন্ত্রীর যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, আজ তা প্রমাণিত। নিজের স্বভাব মতোই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেরও রাজনীতিকরণ করছেন। অথচ নিচুতলায় কোভিড মোকাবিলার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। বিধানসভার এই বিরোধী দলনেতা লেখেন, বৈঠকে অ-বিজেপি রাজ্যের ৭ জেলার মধ্যে ৫ জেলাশাসকও বক্তব্য রেখেছেন। তাঁরা হলেন, ছত্তিশগড়, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশের জেলাশাসক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে চলেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংঘাতের কাঠামো।
{link}
যার ফলে একথা স্পষ্ট যে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তার কাজ করতে শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গে বলা রাখা দরকার রাজ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের এই সংঘাত বহুদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর একসময়ের দলের সঙ্গীই আজ তার বিরুদ্ধে হয়ে দাঁড়িয়েছেন, শেষ পর্যন্ত পচা শামুকেই পা কাটবে না তো?
{ads}