header banner

'বোমার স্তুপের উপর বাংলা দাঁড়িয়ে আছে'- দত্তপুকুরের ঘটনায় বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী শিবির

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের অন্দরে একের পর এক বাজি বিস্ফোরণ। সম্প্রতি আরও একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বারাসাতের দত্তপুকুরে ৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে।” রবিবার সকালে বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে। উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) তো বড় বড় কথা বলেছিলেন। মুখ্যসচিবকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাজি কারখানার শ্রমিকদের আলাদা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।” মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “উনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এসব বিষয়ে তাঁর নজর নেই। তাঁর নজর কীভাবে চোরদের বাঁচানো যায়, তা নিয়ে। তাই এরকম ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে।”

{link}

শুধুমাত্র রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নন, বারাসাত বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “গোটা বাংলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জীবনগুলি চলে যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল। এই অপদার্থগুলো যতদিন বাংলায় থাকবে, বাংলার মানুষ মারা যাবে।” তিনি বলেন, “গত কয়েকদিনে কতজন মারা গেল, হিসেব করুন। মিজোরামে মারা গেল কুড়িজনের ওপরে। এখানে মারা গেল দশজন। মুখ্যমন্ত্রী কী চাইছেন? গোটা রাজ্যটাকে কি শ্মশান বানাবেন? শ্মশান বানিয়ে তাঁর শান্তি হবে? এই মৃত্যুর সংখ্যা তো আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। বেআইনি কারখানা চলছে। তৃণমূলের নেতারা ওখান থেকে তোলা তোলে, খোঁজ নিন। দেখবেন তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা ওখান থেকে হপ্তা পায়, মাসে মাসে টাকা পায়। তাই পুলিশ কিছু করে না। আমরা তো আগেই বলেছি, বোমার স্তূপের ওপর বাংলা দাঁড়িয়ে আছে।” 

{link}
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।  
{ads}

news Suvendu Adhikari Blast Barasat Blast Case West Bengal সংবাদ

Last Updated :

Related Article

Latest Article