শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি রামপুরহাট থানার অন্তর্গত শ্যাম্পাহারি শ্রী রামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে, নৃশংস খুনের ঘটনায় বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় আদিবাসীরা প্রতিবাদ করেছেন। রাষ্ট্রপতির পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ডক্টর স্বপন দত্ত বাউল ও ঘরে চুপ করে বসে থাকেননি। স্বপন বাউল সুদূর পূর্ব বর্ধমান থেকে গত সপ্তাহেই নিঃস্বার্থ ভাবে বিনা পারিশ্রমিকে ছুটে এসেছিলেন তারাপীঠে। তারাপীঠ মন্দির চত্বরেই আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীর খুনের বিরুদ্ধে বাউল গানে প্রতিবাদের ঝড় তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। স্বপন বাউল গানে গানে ও প্রতিবাদী বক্তব্যে বার বার বলেছিল পুলিশ প্রশাসন কে সচেতন হয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। ঠিক তারপর দিনই আর একজন খুনের সঙ্গে জড়িত দোষীকে পুলিশ গ্রেফতার করে ।
{link}
সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে যে ভৌত বিজ্ঞানের স্কুল শিক্ষকের কাছে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল, সেই স্কুল শিক্ষক কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ মঙ্গলবার স্বপন দত্ত বাউল আবার বীরভূম জেলার পথে নামলেন। স্বপন বাউল রামপুরহাট আসার পথে বোলপুর, সাঁইথিয়া ও রামপুরহাটে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রী খুনের বিরুদ্ধে নিজে গান লিখে নিজেই সুর করে প্রতিবাদী গানে ঝড় তোলেন। স্বপন বাউল গানে গানে দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবি করেন । একইসঙ্গে সুবিচার করার জন্য আইন আদালত ও পুলিশ প্রশাসন কে কঠোর হতেও বলেছেন তিনি। বক্তব্যে বার বার বলেছেন খুনি ও খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে কয়েক দিন জেল হাজত বাস করিয়ে ছেড়ে দিলে চলবে না। খুনিদের কঠিন শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে । ফাঁসির শাস্তি না দিলে খুনিরা ভয় পাবে না। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার এই জঘন্য নৃশংস ভাবে নাবালিকাদের খুন করবে । অপরাধ দিনদিন বেড়েই চলবে অপরাধ কমবে না।
{link}
স্বপন বাউল জানিয়েছেন, "আমি রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারে সম্মানিত শিল্পী। আমি যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই ছুটে যাই। নিজের উদ্যোগেই প্রতিবাদ করি। এর আগে আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদ করেছি। জেল হয়েছে। তারপর কুলতলীর ছোট্ট উমাকে খুনের প্রতিবাদে ছুটে যাই কুলতলি। এর পর একে একে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার নাবালিকা হত্যা ও গুরাপের মেয়েকে হত্যার প্রতিবাদও করেছি আমি। আমার প্রতিবাদের জেরেই এই তিন জায়গার খুনিদের ফাঁসির সাজা হয়েছে। ঠিক তেমনই এই বারেও রামপুরহাটের আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রী খুনের খুনি ও দোষীদের ফাঁসির শাস্তি চাইছি ।" তিনি চাইছেন যেন আর একটিও নাবালিকার প্রাণ না যায়। আর কোনও মায়ের কোল শূন্য হতে না হয়। বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গার ও রামপুরহাটের মানুষও তাঁর এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
{ads}