পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে তৃণমূলের সভামঞ্চে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে সপাটে চড় কষিয়ে ছিলেন এক যুবক। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি, রবিবারে ঘটেছিল সেই ঘটনা। আজ ৬ বছর পর ফের ফেসবুকে উঠে এল সেদিনের ভিডিও। সৌজন্যে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা। ফেসবুকে সেই ভিডিও পোস্ট করে কনিষ্ক লিখেছেন, ‘৬ বছর আগের কথা! মনে পড়ল ভাইপো?’ এছাড়াও এদিন দেবাশিসকে পাশে বসিয়ে কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, ‘ভাইপো চিনতে পারছ? এই সেই আমার ভাই। সেবার তোমার গালে থাপ্পড় মেরেছিল। এবার কিন্তু তোমাকে মারবে না।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ওই ফেসবুক–বার্তায় মদন মিত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কণিষ্ক পণ্ডা। বার্তার শেষে তিনি বলেছেন, ‘সাবধান ভাইপো’ উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারি শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথিতে সভা করতে আসছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কার্যত সকলের সামনে অভিষেক কে প্রত্যক্ষে হুমকি দিয়ে সাবধানতার বার্তা দিলেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছিল ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি? চণ্ডীপুরের যুব তৃণমূলের সভামঞ্চে উঠে সবে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কয়েকটা কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে তখন অখিল গিরি, আনিসুর রহমান সহ আরো অনেক তৃনমূলের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। এক যুবক মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অছিলায় অভিষেকের একেবারে কাছে পৌঁছে যায় আর তার পরই ওই যুবক সপাটে চড় কষিয়ে দিলেন তাঁর গালে। পরে তাকে ঘুষিও মারে। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতাকর্মীকে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপিটুনি। লাঠি, বাঁশ নিয়ে ওই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। জখম হন তমলুকের এসডিপিও–সহ ১২ জন পুলিশকর্মী। চণ্ডীপুর থানাতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৬ বছর। আজ সেই যুবককে জনসমক্ষে তুলে এনে ফের সেই স্মৃতি উষ্কে দিলেন বিজেপি নেতা কনিষ্ক পান্ডা। যদিও এখনও এবিষয়ে কোনরকম প্রতিক্রিয়া আসেনি অভিষেক ব্যানার্জির কাছ থেকে।
{ads}