ফের বালিতে প্রকাশ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বুধবার বঙ্গজননী কর্মসূচি নিয়ে বালি বিধানসভা এলাকার ১৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে আজ বৈঠক করছিল পি কে(প্রশান্ত কিশোর)-এর টিম। তাদের বৈঠক চলাকালিন বালির মহিলা সভাপতি বিজয়লক্ষী রাও সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে প্রশ্ন তোলেন, বিধায়ককে বাদ দিয়ে কেন এই মিটিং করা হচ্ছে। তারপরেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সামইনেই প্রকাশ্যে দু-পক্ষের বচসা শুরু জয়ে যায়। দুপক্ষই পরস্পরকে তোলাবাজীর অভিযোগ তুলেছেন। বৈশালী ডালমিয়াকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তাকে এ বিষয়ে কোন তথ্য প্রদান করা হয়নি। তবে ঘটনাটইতে যে তিনি যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ তা তার কথা থেকে স্পষ্ট। তার মতে এভাবে চলতে থাকলে দল ঐক্যবদ্ধ তো হবেই না, তার পরিবর্তে বিভাজন হয়ে যাবে।
কার্যত আবার একথা আবারও স্পষ্ট যে ক্রমাগত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দিনের দিন আরো অবস্থা খারাপ হয়ে উঠছে তৃনমূলে। ভোটের দিন যত সামনে এগিয়ে আসছে ততোই আলাদা আলাদা যায়গা থেকে উঠে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিংবা পারস্পরিক কলহের খবর। ক্রমশ বদলে যাচ্ছে রাজ্যে পরিচিত তৃনমূল কংগ্রেসের চিত্রটা। একটা বহু বছর ধরে গড়ে তোলা হয়েছিল যে ঘর সেই ঘরের দেওয়ালেই যেন নতুন ইঁটের ভারে হোক আর যেভাবেই হোক না কেন দেওয়ালে ফাটল ধরছে। সেই ফাটল সেরে ওঠার যায়গায় ক্রমশ যেন আর বৃহত্তর ফাটলে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। এখন সবার লক্ষ্য ঘরের কর্তীর উপর। ঘর তার পুরনো মজবুত ভীত আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি?