header banner

মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দুই রায়কেই, সাম্যতায় কিস্তিমাত তৃণমূলের

article banner

হাওড়া থেকে শেষমেশ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন তিনবারের বিধায়ক অরূপ রায়। এর সাথেই দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন পুলক রায়। তিনিও অরূপ রায়ের ন্যায় তিনবারের বিধায়ক। এই দুই রায়কে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে তৃণমূল নেত্রী হাওড়ায় সাম্যতা তৈরি করলেন বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের। 

{link}
এক যুগ আগেও হাওড়ার রং ছিল লাল, বামেদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি ছিল হাওড়া। বামেদের অন্দরেও এই জেলাকে বলা হত ‘লালদুর্গ’। ২০১১ সালে সেই লালদুর্গে কার্যত ধস নামান মধ্য হাওড়ার অরূপ রায় ও উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়। দু প্রান্তের এই দুই নেতার দাপটেই হাওড়ার রঙ হয়ে ওঠে সবুজ। তাই এক সময় গোটা জেলার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছিল অরূপের হাতে। তিনিই ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি। অরূপকে জেলা সভাপতির পদ দেওয়ার পরেই তৃণমূলের অন্দরে বইতে থাকে উপদলীয় কোন্দলের চোরা স্রোত। তার জেরে জেলার সংগঠনকে তৃণমূল নেত্রী ভাগ করেন দুটো ভাগে। হাওড়া শহর তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া হয় অরূপকে। হাওড়া গ্রামীণের দায়িত্ব এসে পড়ে পুলকের ওপর। তার পরেই জেলায় সংগঠন চলতে থাকে মসৃণ গতিতে। দুই রায়ের দ্বন্দ্ব যাতে প্রকাশ্যে ছাপ ফেলতে না পারে তাই প্রথম দুটো টার্মে মন্ত্রী করা হয় ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই রাজীব তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। জয়ের পর কাকে কি পদ দেওয়া হবে সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজ্যবাসী।

{link}
স্বাভাবিকভাবেই জেলা থেকে অন্তত একজনকে মন্ত্রী করার প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু এই দুই রায়ের কোনও একজনকে মন্ত্রী করা হলে বপন হত অশান্তির বীজ। তাই সূক্ষ্ম চালে কিস্তিমাত করলেন তৃণমূল নেত্রী। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হল দুই রায়কেই। রাজনৈতিক বুদ্ধি বোধহয় একেই বলে! একদিকে দুইজনকেই মন্ত্রীও করা হল, অন্যদিকে বজায় রইল সাম্যতাও। 
{ads}

Arup Ray Pulak Roy Ministry of West Bengal Mamata Banerjee TMC সংবাদ Politics

Last Updated :