শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। তার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সোমবার তাতে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন বিষয়টিতে আইনজীবী কপিল সিব্বাল দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের। একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তার পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
{link}
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে হামলা হয় বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটিকে চিঠি দেন সুকান্ত। চিঠি দেন লোকসভার স্পিকারকেও। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছে পুলিশ।তার পরেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্য সচিব ছাড়াও তলব করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়। তার আগেই সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব।
{link}
রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাই এখনই তাঁদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিন পিছনোর আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। এর পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির নোটিশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জও করে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে মিটিংয়ের নামে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ। প্রথমে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও, পরে বাছাই করা কয়েকজন মহিলাকে পার্টি অফিসে কিংবা এলাকার একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। এই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। সেই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
{ads}