header banner

Tab Scam : অভিযোগের তীর অনেক প্রধান শিক্ষকের দিকে

article banner

শেফিল্ড টাইম্‌স ডিজিটাল ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন স্কুলের শিক্ষকদের শুধুই পঠন-পাঠনের কাজ করতে হতো। কিন্তু এখন পঠন-পাঠন থেকেও বেশি নজর দিতে হয় অন্যান্য বহু কাজে। তা মিড-ডে-মিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে। আর সেই ক্ষেত্রে সকলেই যে সমান দক্ষ তা নয়। এই পরিস্থিতিতেই সামনে এসেছে সরকারি 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের ট্যাব কেলেঙ্কারি (Tab Scam)। প্রশ্ন উঠেছে এর মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কিছু মানুষ ও স্কুলের প্রধানরা কি যুক্ত আছে? একাধিক জায়গায় প্রধান শিক্ষকদের (Head teachers) নামে এফআইআর পর্যন্ত হয়েছে।

{link}

মেদিনীপুর, মালদহ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গে জেলাতেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, এফআইআর (FIR) হয়েছে মানেই প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত, তা নয়। যেহেতু একটি স্কুলের ‘অথরিটি’ হন তাঁরা, অর্থাৎ তাঁদের হাতেই থাকে স্কুলের মূল দায়িত্ব, তাই কোনও অঘটন ঘটলে, আগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ায় রাজ্য জুড়ে গর্জে উঠেছেন প্রধান শিক্ষকরা। আসল কথা হলো, সমস্ত পড়ুয়াদের তথ্য নেটে আপলোড করতে হয় প্রধান শিক্ষকদের। এই বিষয়ে তারা কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। ফলে সামান্য ভুল হলে একজনের টাকা অন্যের একাউন্টে চলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর কিছু ক্ষেত্রে ঘটেছেও তাই। ভুল কিছু হলে তা দ্রুত সংশোধন করে নিতে হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের বলির পাঁঠা বানানো চলবে না।

{linki}

প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির দাবি, রাতের পর রাত জেগে পোর্টালে তথ্য আপলোড করার কাজ করেছেন তাঁরা। তারপরও সব অভিযোগের দায় নিতে হচ্ছে তাঁদের। রাজ্যের প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ট্যাব কেলেঙ্কারিতে আমার-আপনার কারও দায় নেই। পুরো দায় শিক্ষা দফতরের। অতি দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন করেছি আমরা। শিক্ষা দফতরের উচিত ছিল, আমাদের পাশে দাঁড়ানো।” জলপাইগুড়ি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় সেনগুপ্ত বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে বলেন, “কেবলমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাঙ্কের IFSC কোড এই দুই তথ্যের ভিত্তিতে টাকা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে অ্যাকাউন্ট নম্বরের একটা সংখ্যা এদিক ওদিক হলেই টাকা অন্যের অ্যাকাউন্ট চলে যাচ্ছে। আর তা হলেই মামলা রুজু করে দেওয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।” তাই তাঁর দাবি, প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আর আধার নম্বর- দুটোই দেওয়ার জায়গা থাকুক, তাহলে টাকা পাঠানো নিয়ে কোনও সমস্যা থাকবে না। এখন দেখার সরকার এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়।

{ads}

News Breaking News Tab Scam Head teachers West Bengal সংবাদ

Last Updated :

Related Article

Care and Cure 1

Latest Article