header banner

শহুরে যন্ত্রে হারিয়ে যাওয়া ঢেঁকির 'ক্যাঁচরম্যচোর কান্না' আজও অব্যাহত গ্রাম্য সংস্কৃতিতে

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: ‘ঢেঁকি স্বর্গে যাওয়ার তরে, ক্যাঁচোরম্যাচোর কান্না করে। চাল কুটতে হল বেলা, পিঠে গড়বে কোন শাশুড়ির পোলা' এসব কথা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা শোনেনি। শোনার কথাও নয়। কারণ ঢেঁকি নিয়েছে 'ছুটি'। আরো সহজ করলে বলা ভালো আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার যুগে ঢেঁকিকে ছুটি দিয়েছি আমরাই। যদিও কষ্ট করে যদি খোঁজা হয়, তাহলে আজও জানা, অজানা কোন এক গ্রামের কিনারায় পিঠে পুলির উৎসবের আগে কান পাতলে শোনা যায় ঢেঁকির শব্দ। 

{link}
কিন্তু পিঠে পুলির উৎসব মানে নতুন করে খোঁজ পড়ে ঢেঁকির। কাঠের তৈরী দানবাকৃতি এই যন্ত্রের তৈরী চালের গুঁড়ি ছাড়া ভোজনরসিক বাঙ্গালীর পিঠের স্বাদ পূরণ হয়না যে। বর্তমান সময়ে 'অপাংক্তেয়' ঢেঁকির খোঁজে বেরিয়ে আমরা পৌঁছে গেছিলাম শহর থেকে অনেক দূরে বাঁকুড়ার ইন্দাসের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঐ গ্রামে পৌঁছে দেখলাম নিকানো উঠোনে ধপাধপ শব্দে চালের গুঁড়ি তৈরী করছেন একদল মহিলা, সঙ্গে সুরেলা কন্ঠে টূসু গান তো আছেই। রাত পোহালেই পিঠে পুলি উৎসবের সূচণা। এই মুহূর্তে দমফেলার ফূরসৎ নেই কারো।

{link} 
এখানে নগদ অর্থ নয়, দীর্ঘ দিনের ধারাবাহিকতা মেনে বিনিময় প্রথার মাধ্যমেই তাঁরা এই কাজ করে আসছেন, বললেন ঢেঁকিতে চালের গুঁড়ো তৈরীর সঙ্গে যুক্ত লক্ষী বাগদী, ঝর্ণা বাগদীরা। তাঁরা বলেন, এক শলি (কুড়ি পাই) চাল গুঁড়ো করলে চার কেজি চাল মেলে। পিঠে পুলির এই উৎসবের আগে এভাবেই তাঁদের বাড়তি কিছু রোজগার হয় বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাংলার এই ঢেঁকির অস্তিত্ব আজও অব্যাহত রয়েছে গ্রামের পরিবেশে এই সমস্ত মানুষগুলির জন্যেই। তারাই বর্তমানে এই ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। 
{ads}

news Bankura Paush Parban Dhenki West Bengal সংবাদ

Last Updated :