header banner

সার্কাসের মূল আকর্ষন নিয়ে শুরু হল বারুইপুরের বিখ্যাত রাস মেলা

article banner

সুদেষ্ণা মন্ডল, বারুইপুর: বারুইপুরে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা। বারুইপুর এর মদন মল্ল আজ থেকে প্রায় দুশো সত্তর বছর আগে ইংরেজ শাসনের গোড়ায় রায়চৌধুরী উপাধি লাভ করেন। বর্তমান দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থেকে সুদূর সাগর সহ গোটা সুন্দরবনের পত্তনী লাভ করেন মদন রায়চৌধুরী । বাঙালির "বারো মাসে তেরো পার্বন" এর সব পার্বন চালু হয় জমিদার বাড়িতে। দুর্গা, কালি, বিপদত্তারিণী পূজার পাশাপাশি রথ ও রাস উৎসব চালু হয় দেউড়ির মাঠে। সেই মেলায় জায়গা পায় বাদাম-মক্কা, খেলনা, মাটির জিনিস , গাছ , সহ হরেক জিনিসের দোকান । বিশেষ করে জিলিপি - গজার দোকান । মেলায় বারুইপুর সহ আশপাশের কানিং , জয়নগর , কুলতলি , মগরাহাট , বিষ্ণুপুর , সোনারপুর থেকে হাজার হাজার মানুষজন ভিড় জামাতো মেলায় । তখন রাতে বারুইপুর বর্ধিষ্ণু এলাকা হলেও পল্লী গ্রামে ফিরে যাওয়ার উপায় ছিলনা তাদের । তাই রাতে খাওয়া ও পুতুল নাচের আসর বসত মেলার মাঠে । কিন্তু কালের নিয়মে একদিন ম্লান হয়ে পুতুল নাচ। স্বাধীনতার পর আস্তে আস্তে কিছুটা হলেও জৌলুস হারায় পুতুল নাচ। কারণ দস্যু ডাকাতের ভয় কমায় মেলায় আর রাত কাটাতে হতো না মনুষজনের। 

{link}
কয়েক বছর পর মেলায় যোগ হয় সার্কাস। আর সার্কাসের খেলা দেখতে সেই সময় থেকে মেলায় ভিড় জামাতে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ । আর এই সার্কাস এর আসর বসায় অন্য মাত্রা পায় রাসমেলা। বর্তমানে বিধিনিষেধের গেরোয় আর সার্কাসে জায়গা পায়না বাঘ , সিংহ , হাতি , ঘোড়া থেকে জলহস্তীরা । তাই এখন জোর দেওয়া হয়েছে জিমনাস্টিক এর উপর। এবার বসেছে আফ্রিকান ডায়মন্ড সার্কাস। যার শুভারম্ভ  হল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত ধরে। সার্কাস কর্তিপক্ষের তরফে মাধব বাবু ও আলাউদ্দিন বাবু  জানান পশু আইন এর জটিলতায় হয়তো বাঘ সিংহ নেই। কিন্তু আফ্রিকান ও ভারতীয় খুব ভালো খেলোয়াড়ের মেলবন্ধনে এই সার্কাস খুব ভালো আনন্দ দেবে দর্শকদের । সঙ্গে ছোটদের জন্য রয়েছে স্পেশাল জোকার এর খেলা । তাই জমিদারী প্রথা বিলোপ হলেও আজও ঐতিহ্যের সাথে প্রাচীন রীতি গরিমার সাথে বয়ে চলেছে বারুইপুর এর রাসমেলা।
{ads}

news Circus Baruipur West Bengal সংবাদ

Last Updated :