শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে একটা স্মরণীয় দিন। সাম্প্রতিককালে প্রায় সমস্ত রায়ই গেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককের চাকরি বজায় রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ - এটা খুবই স্বস্তির কারণ রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু কেন জাস্টিত অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়ের সঙ্গে সহমত হলেন না ডিভিশন বেঞ্চ? এবার সামনে এসেছে ডিভিশন বেঞ্চের ৫ দফা যুক্তি।
১) অপরাধের প্রমাণ নেই-
প্রাথমিক নিয়োগ মামলার নির্দেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, যে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যক্তিগত অভিযোগ বা অপরাধের প্রমাণ নেই।
২) চাকরি কেড়ে নেওয়া অনৈতিক হবে -
সিঙ্গল বেঞ্চ জিরো টলারেন্স-এর কথা বলেছিল। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, এত বছর ধরে যাঁরা চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া অন্যায় ও অনৈতিক হবে। বেনিয়মের অভিযোগকে মান্যতা দিলেও জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
{link}
৩) ঘুষের প্রমাণ নেই -
ডিভিশন বেঞ্চ এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যে নিয়োগের সময় আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির কোনও নথিও আদালতের সামনে পেশ করা হয়নি। তাই শুধুমাত্র সন্দেহের নিরিখে ৩২,০০০ প্রার্থীর চাকরি খারিজ করেনি আদালত।
৪) বর্তমানে সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত-
ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, ৩২,০০০ শিক্ষক বর্তমানে পুরোপুরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা D.El.Ed ও NIOS প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। এর মধ্যে অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে একমাত্র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তাই তাদের চাকরি বাতিল হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় কী প্রভাব পড়বে, তা ভেবেই এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
৫) অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হওয়ার প্রমাণ মেলেনি -
অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই নিয়োগ করা হয়েছে। মূলত এই অভিযোগেই চাকরি বাতিল করেছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু অ্যাপটিটিউড টেস্ট যে হয়নি, সেই প্রমাণ পায়নি ডিভিশন বেঞ্চ।
{ads}