শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্য সরকারি কর্মীদের বহু প্রতিক্ষিত ডিএ (DA) মামলার শুনানি সোমবার শেষ হয়েছে। সোমবারও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল ডেট পিছানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)-এর তীব্র আপত্তিতে আজ আর ডেট পিছানো সম্ভব হয় নি। অক্টোবরের শুরুতেই রায় ঘোষণার সম্ভাবনা। যদিও পুজোর আগে রায় দেওয়া না গেলেও, পুজোর পরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
{link}
সরকারি কর্মচারীরা (Government Employees, West Bengal) দীর্ঘদিন ধরেই এই রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের কার্যকারী সভাপতি সঞ্জীব পাল বলেন, “অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। আশাকরছি ঐতিহাসিক রায় পেতে চলেছি।”২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) জানিয়ে দিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকার। সেই হারে কেন্দ্রীয় ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত তখন স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল, অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। ওই সময়সীমাও ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে। নবান্নের যুক্তি ছিল, বকেয়া ডিএর সঠিক অঙ্ক নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
{link}
কত টাকা আদতে প্রাপ্য, তার হিসেব কষতে আরও সময় প্রয়োজন।কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন স্পষ্ট—“রাজ্যের বাইরে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীরা যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তবে বাংলার কর্মীরা কেন বঞ্চিত হবেন?” যুক্তি, পাল্টা যুক্তির আবহে ডিএ মামলার ‘সওয়াল’ পর্ব শেষ। এখন দেখার বিষয়, লিখিত বয়ান পাওয়ার পর শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়।
{ads}