সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর রেকর্ড সংখ্যক পূর্ণার্থীদের ভিড় হতে পারে গঙ্গাসাগরের এমনটাই মনে করছে জেলা প্রশাসনের এক অংশ। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গাসাগরের একাধিক নদী বাঁধের অবস্থা বেহাল। এমনকি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে সমুদ্র বাঁধের ও বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেচ দপ্তরের তরফ থেকে গঙ্গাসাগর মেলার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মুড়িগঙ্গা নদীতে ও গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্র সৈকতে বাঁধের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
{link}
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির চত্বর ও মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। নদী বাঁধের পাশাপাশি মেলার সময় পূর্ণ্যার্থীদের লঞ্চ পরিষেবা ও ভেসেল পরিষেবা খতিয়ে দেখেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী। মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনের পর রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের সমাগম হতে পারে। পুণ্যার্থীদের ন্যূনতম অসুবিধা যাতে না হয় সেদিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় আশা পূর্ণার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় সেই জন্যই মেলার কয়েক মাস আগে থেকে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে।
{link}
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ইয়াসের পর থেকে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্র বাঁধের বেহাল দশা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সেচ দপ্তরের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আধুনিক পদ্ধতিতে নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য নদী বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কোন সাহায্য ছাড়াই রাজ্য সরকারের ক্ষমতা ও এখতিয়ার এর মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নানান পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা করা যায় গঙ্গাসাগর মেলার সময় পুণ্যার্থীদের ন্যূনতম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। ভিন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের সুবিধার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
{ads}