শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ভূপতিনগরের অর্জুননগর থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মুখে স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলার মুখে পড়লো এনআইএ আধিকারিকরা। সেই সময় স্থানীয় মহিলাদের একটি অংশ গাড়ি ঘিরে ঘরে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন।তারপর গাড়িতে ইঁট ছোড়া হয়। গাড়ির কাঁচ ভাঙে। গাড়িতে থাকা এনআইএর দুই আধিকারিক আহত হন। তবে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় আটক ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামাতে পারেনি স্থানীয়দের একাংশ।
{link}
এনআইএ ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ জানায়। পরে অবশ্য দুইজনকে নিয়ে কলকাতায় চলে যায় এনআইএ।প্রসঙ্গত গত ২০২২-এর দোসরা ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি কারবারের অভিযোগ উঠেছিল।সেই সময় ওই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। গত মাসের শেষের দিকে তৃণমূল নেতা নবকুমার পন্ডা, সুবীর মাইতি, মানব পড়ুয়া, বলাই মাইতি, মনোব্রত জানা সহ আটজনকে নোটিস পাঠানো হয়। তাঁদেরকে কলকাতার এনআইএ দফতরে তলব করা হয়েছিল। এনআইএ-র এই নোটিশের কিছু আগে টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপি ও এনআইএ-র মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ করেছিলেন। তারপর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে এনআইএর বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
{link}
এদিকে এনআইএর নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা নির্ধারিত দিনে হাজিরা না দিয়ে ভোটে ব্যস্ত থাকার কথা জানান। তাই গভীর রাতে সেই বলাই মাইতির খোঁজে তল্লাশি চালায় এনআইএ। দুইনজকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ই হামলা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআইএ-এর তরফে পুলিশের কাছে ফোর্স চাওয়া হয়েছিল। পুলিশ যাওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে অর্জুননগর গ্রামে পৌঁছে যায় এনআইএ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় বিজেপির পায়ের নিচে মাটি তৈরি করতেই ভোটের মুখে এনআইএ অভিযানে নেমেছে।
{ads}