শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লকের নাড়াজোল অঞ্চলের হরিরাজপুরে হরি রাজপুর যুবগোষ্ঠী ও হরিরাজপুর বাঁদনা পরব কমিটির পরিচালনায় জনজাতি সম্প্রদায়ের পরম্পরা ঐতিহ্য রীতিনীতি প্রথা মতে ধামসা মাদোলের তালে তালে, আদিবাসী নৃত্য ও গরুর নাচের মধ্য দিয়ে চাঁদবাঁদানী উৎসব ও বাঁদনা পরব পালিত হলো।
এই পরব কৃষিভিত্তিক উৎসব।বাঁদনা পরব পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের সাঁওতাল কুরমি বাউড়ি রাজোয়ার
নাপিত বাগাল গোয়ালা লোধা বাগদি মুন্ডা কুইরি কুমহার প্রভৃতি জাতির কৃষিভিত্তিক উৎসব।
প্রতিবছর কার্তিক মাসে কালীপুজোর পর এই পরব পালিত হয়। এই পরবে যে গান গাওয়া হয় তাকে অহিরা গান বলা হয়।
শাল-পিয়াল ঘেরা, আদিবাসী জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে বাঁদনা সহরায় উৎসব।
রাঢ় বাংলার আদিবাসীরা মেতে উঠেছেন উৎসবে।
{link}
ছোটনাগপুর মানভূম সহ বাঁকুড়া পুরুলিয়া মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব।
হুগলি এবং বর্ধমানের পূর্বাঞ্চলের সাঁওতাল জনগোষ্ঠী কালী পূজোর সময় ওই উৎসব পালন করেন ।
প্রধানত গো বন্দনা হিসাবে পালন করা হয়। এই উৎসবের চলে একমাস ধরে।
আদিবাসী গ্রামগুলিতে চলে এই উৎসব।
আদিবাসী মহিলারা তাদের মাটির ঘর রং দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন। আঁকেন আলপনা।
পুরুষরা গরু এবং মোষের সেবা যত্ন করেন।
জমিতে কৃষি কাজ করার পর গবাদি পশুরা এই সময়ে বিশ্রাম পায়।
গোয়ালঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
গরু মোষের শিংএ তেল, গলায় মালা, শিংএ ধানের শীষের গোছা পরিয়ে বরণ করার রীতিও আছে। আদিবাসী ঘরের গরু ও বলদকে গোয়ালে পুজো করা হয়।
এরপর গরু জাগানোর গান-বাজনা চলে।
{link}
উৎসবের প্রথম দিনে আদিবাসীরা তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে পূজো দেন।
রাতে ধামসা মাদোলের সঙ্গে নাচ গান শুরু হয়।
এরপর হয় গরু খুঁটানো। গ্রামের ফাঁকা মাঠে গরুকে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়, এরপর গরু বা মোষ কে তাদের গায়ে লাল ছোপ, কপালে এবং শিঙে তেল সিঁদুর লাগিয়ে গলায় মালা ঘন্টা ঘুঙুর বেঁধে খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়।
চামড়া অথবা লাল কাপড় হাতে আদিবাসী পুরুষরা তাদের দিকে এগিয়ে যান। সেই গরু ও মহিষ খুঁটি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায়।
শস্য সন্তান গবাদি পশুকে রক্ষা করার জন্য এই উৎসবে মেতে ওঠেন রাঢ়বাংলার আদিবাসী জনজাতি সমাজ।
{ads}