শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : সিঙ্গুর আন্দোলন ছিল সরকার পরিবর্তনের একটা অন্যতম কারণ। আর সেই সিঙ্গুর আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল টাটারা (TATA)। স্বাভাবিক কারণেই তারা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে। আর সেই মামলায় এবার বিপাকে রাজ্য। ২০০৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানার ঘোষণা করেন। টাটাকে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১,০০০ একর জমি।
{link}
কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলন ও জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রকল্প সফল হয়নি। পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার জমি ফেরত নেয়। তখন টাটা গোষ্ঠী রাজ্যের কাছে জমি ফেরানোর খরচ ও বিনিয়োগ বাবদ অর্থ দাবি করে। সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের গাড়ি কারখানা প্রকল্প বাতিলের জেরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে টানা আইনি লড়াই। ৭৬৫ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্যের আপত্তি শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ হয়ে গেল।
{link}
এই দাবি নিয়ে সালিশি আদালতে মামলা গড়ায়। ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের সালিশি ট্রাইব্যুনাল রাজ্য সরকারকে টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, সঙ্গে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাকি অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশও দেয়। শুক্রবার বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি অতুল এস চন্দুরকরের বেঞ্চ হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে রাজ্যের মামলা খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হাই কোর্টেই হবে। আগামী ১২ অগস্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি নির্ধারিত।
{ads}