শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : শুক্রবার ভোর রাতে ডায়মন্ড হারবারে স্টেশন বাজার চত্বর এলাকা থেকে এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে চুরি হয় বেশ কিছু পিতল কাঁসার জিনিস এবং দুটি মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি। শুক্রবার সকালে চুরি করা জিনিসপত্র নিয়ে যে ব্যক্তির বাড়িতে চুরি করেছিল সেই ব্যক্তির স্টেশন বাজার সংলগ্ন পিতল কাঁসার দোকানে চুরি করা জিনিস বিক্রি করতে আসে চোরটি। চোর যুবক ভুনাক্ষরে জানতে পারেনি শুক্রবার ভোররাতে যে বাড়ি যেতে সে চুরি করেছিল সেই বাড়ির সদস্যেরই দোকানে চুরি করা জিনিস বিক্রি করতে এসেছে। দোকানদার সেই জিনিস ক্রয় করার জন্য চোর যুবক কে বললে চোর যুবক একে একে চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস নিয়ে দোকানে এসে উপস্থিত হয়। নিজেদের চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস দেখে মুহূর্তের মধ্যে চিনে ফেলে দোকানী। এরপর চোর যুবক কে রাস্তার ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে চলে ধোলাই।
{link}
চুরির কথা স্বীকার করে চোর যুবক। এই ঘটনা চাউর হতেই মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায় ওই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকটিকে আটক করে ডায়মন্ড হারবার থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে খবর, প্রায় সময় ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজার সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী দোকান এবং দোকানের সামনে থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারে না যে এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত রয়েছে। কিন্তু আজ এই তোর যুবককে দেখে প্রায় ব্যবসায়ীরা চিনতে পারে। যে চুরি হওয়ার দিন ও তার পরের দিন ডায়মন্ডহারবার সংলগ্ন এলাকায় এই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার থানা পুলিশ অভিযুক্ত এই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরো অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। এ বিষয়ে পলাশ মন্ডল জানান, শুক্রবার ভোর রাতে আমাদেরই বাড়ির ঠাকুর ঘর থেকে এই জিনিসগুলোই চুরি হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার ভোরে যখন আমরা ঘুমোচ্ছিলাম তখন আমাদের ঠাকুরঘরে কারোর উপস্থিতি জানতে পারি এবং আমরা যখন চিৎকার করি তখনই আমাদের ঠাকুর ঘরের থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় চোর। কাকতালীয়ভাবে, শুক্রবার সকালে এক যুবক এসে দোকানে জিজ্ঞাসা করে যে পুরনো পিতল কাঁসার জিনিস কেনেন কিনা।
{link}
সাধারণত আমরা পুরনো জিনিসপত্র কিনি না কিন্তু কৌতুল বসত আমরা বলি যে হ্যাঁ! এরপর ওই যুবক ব্যাগ থেকে একে একে জিনিস বার করতে থাকে।যে জিনিস গুলো দেখে আমাদের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে গতকাল আমাদের ঠাকুরঘর থেকে যে জিনিসগুলি চুরি হয়েছে সেগুলি এই জিনিস। এরপর তৎক্ষণ াৎ আমাদের দোকানের কর্মচারীরা ওই যুবককে ধরে ফেলে এবং আশেপাশের ব্যবসায়ীরা ওই যুবককে ধরে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে দেয়। প্রথমে এই চুরির ঘটনা স্বীকার করছিল না ওই যুবক এরপর গণধোলাই দিতে একে একে সব কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। এরপর আমরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
{ads}