শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ওরা কথা রাখে নি। কথা রাখে নি SSC, কথা রাখে নি শিক্ষামন্ত্রী। ২১ তারিখের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের লিস বের করার কথা ছিল, কিন্তু বের করে নি। এদিকে সোমবার থেকে আচার্য সদনের (Acharya Sadan) সামনে অবস্থান বিক্ষোভে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক। চাকরি প্রার্থীরা সারা রাত না খেয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আচার্য সদনে ঢোকার সময় বিক্ষোভকারীরা সেই খাবার জোর করে ফেলে দেয়। মঙ্গলবার সকালেও ভিতরে চা নিয়ে ঢুকতে দেয় নি তারা।
{link}
রাতভর দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে করুণাময়ী চত্বর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে রাতভর বসে রইলেন চাকরিহারারা। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশের দাবিতে অনড় তাঁরা। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটলেও থামল না স্লোগান। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হোক কলরব’-এর মতো স্লোগান শোনা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের মুখ থেকে। সকালেও তাঁরা জানালেন, রাস্তা থেকে সরবেন না তাঁরা। এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমরা সারা রাত রাস্তায় বসে আছি, আর এসএসসি-র চেয়ারম্যান ভিতরে আরাম করে ঘুমোচ্ছে।” চলছে শ্লোগান। জুনিয়র চিকিৎসকেরা রাতে তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমর্থন জানান। চাকরিহারা মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। এক শিক্ষিকা বলেন, “পুলিশ আমাদের গুঁতো মারছে। আমরা পড়াশোনা করে এখানে এসেছি। মারামারি করতে শিখিনি।”
{link}
পাল্টা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমাদের মহিলা পুলিশ আছে। আপনারা যা করার আন্দোলন করুন। আমরা আছি।” এসএসসি ভবন থেকে পুলিশ কর্মী বেরচ্ছিলেন। সেই সময় চাকরিহারারা আটকানোর চেষ্টা করেন। হয় ধস্তাধস্তি। সিভিল পোশাকে থাকা পুলিশকর্মীকে এসএসসি ভবনের কর্মী ভেবে উত্তেজনা। পরে অবশ্য সেই সমস্যা মিটে যায়। সকালে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা রাত জেগে রাস্তায় বসে আছি, আর চেয়ারম্যান ভিতরে আরামে ঘুমোচ্ছেন। আমাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না কেউ।”এই পরিস্থিতির মধ্যে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হঠাৎ দেখা যায়, এক ব্যক্তি চায়ের ফ্লাস্ক ও মাটির ভাঁড় নিয়ে এসএসসি ভবনের দিকে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা তাদের চা নিয়ে ঢুকতে দেয় নি।
{ads}