শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রী জানান, “আমরা প্রতিটি হোটেলেই তল্লাশি চালাচ্ছি। শহরে আসা ও থাকা প্রত্যেকের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে মোট ছয়টি হোটেল রয়েছে, যেখানে পর্যটকরা নিয়মিত আসেন ও থাকেন। সেই সব হোটেলে ঠিকঠাক রেজিস্টার রক্ষিত হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহরে প্রবেশ করা বহু গাড়িতেও চলছে তল্লাশি। ভৌগোলিক দিক থেকে কাটোয়া শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া, এই চার জেলার সংযোগস্থলে থাকা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। নদী পেরোলেই নদীয়া জেলার সীমানা। পাশাপাশি বাদশাহী রোড, কীর্ণাহার রোড ও কাটোয়া রোড, এই তিনটি প্রধান সড়ক মিলিয়ে কাটোয়াকে ঘিরে রয়েছে এক বিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
{link}
বাদশাহী রোড ধরে নতুনহাটের অজয় সেতু পেরিয়ে পশ্চিমে বীরভূমের নানুর, পূর্বে বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পড়ে কেতুগ্রামের ফুটিসাঁকো মোড়। ফুটিসাঁকো মোড় এলাকাটি তিন জেলার সংযোগস্থল হওয়ায় সেখানে সব সময়ই ভিন জেলার মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। অতীতে এই এলাকায় বহু দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে গোয়েন্দাদের দৃষ্টিতে এলাকাটি বরাবরই সংবেদনশীল। এর আগে মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া মাদ্রাসা কাণ্ডেও কাটোয়া শহরের নাম উঠে এসেছিল তদন্তের রাডারে। তাই দিল্লির বিস্ফোরণ পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কাটোয়া থানার পুলিশ।
{ads}