সুদেষ্ণা মন্ডল, দক্ষিন ২৪ পরগনা: ঘন কুয়াশার কারণে হুগলি নদীতে দুটি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ আর তার জেরে হুগলি নদীতে ডুবল বাংলাদেশী পণ্যবাহী জাহাজ। উদ্ধার জাহাজে থাকা ১০ জন কর্মচারী। বাংলাদেশী পণ্যবাহী জাহাজটি খিদিরপুর থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সেই সময় হুগলি নদীর কুলপির পহেলা নম্বরের কাছে অপর দিক থেকে আসা একটি জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই ঘটনায় জাহাজের পাঠাতন ফুটো হয়ে জল ঢুকতে থাকে। জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিকসহ অন্যান্যরা প্রাণভয়ে চিৎকার শুরু করে দেয়। বাংলাদেশী জাহাজের নাবিক ও অন্যান্য কর্মীদের চিৎকারে হুগলি নদীতে থাকা মৎস্যজীবীরা উদ্ধার কার্যে এগিয়ে আসে। উদ্ধার কাজে হাত লাগাই কুলপি এলাকা ছোট ছোট মৎস্যজীবী নৌকা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলপী থানার পুলিশ। মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ থেকে সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশী জাহাজটির নাম এম.ভি রাফসান হাবিব -৩ শনিবার ভোর বেলা কলকাতার খিদিরপুর থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘন কুয়াশা ও দৃশ্যমানতার অভাবে হুগলি নদীতে অপর দিক থেকে আসা একটি জাহাজ বাংলাদেশী পন্যবাহী জাহাজটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় জাহাজের পাঠাতন ফুটো হয়ে যায় সেই পাঠাতাম থেকে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে জাহাজটিতে। পন্য ভর্তি থাকায় দ্রুত জাহাজটি হুগলি নদীতে ডুব দিয়ে শুরু করে। অপর জাহাজটি খালি থাকার কারণে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিশ পাশাপাশি পলাতক জাহাজের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জাহাজের এক কর্মী বলেন, শনিবার কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে ছাই নিয়ে হুগলি নদীর পথ ধরে নামখানা হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল এই জাহাজটির। হঠাৎ করে কুলপির কাছে কয়লা নম্বর এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি জাহাজ ধাক্কা মারে জাহাজটিকে। ঘাতক জাহাজটি খালি থাকার কারণে পালিয়ে যায়। জাহাজটি ফুটো হয়ে জল ঢুকতে থাকে আমরা বেশ কয়েকজন ভয়ে ও সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলাম। সেই সময় হুগলি নদীতে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীরা মাছ ধরছিল আমাদের চিৎকার শুনে দ্রুত আমাদের কাছে আসে এবং আমাদেরকে উদ্ধার করে। কুলপি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ডুবন্ত জাহাজকে হুগলি নদী থেকে তোলার জন্য অপর দুটি জাহাজ নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।