বহুদিন ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কার্যত বেঞ্চে বেঞ্চে জমেছে ধুলো। মাঝখানে কিছুদিন নির্দিষ্ট কিছু ক্লাসের কয়েকটি বিষয়ের ক্লাস চালু করা হলেও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে ফের তালা পড়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে। তাই সেই দিক থেকে লক্ষ্য রেখে বর্তমানে কোভিডের ভয়াবহ পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রেখে রাজ্যে সমস্ত স্কুলগুলিকে সেফ হোমে পরিনত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। দ্রুত স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করে বসবাসযোগ্য করে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।
{link}
উল্লেখ্য বিষয় গত বছরই দেশে প্রথম আছড়ে পড়ে করোনার প্রথম ঢেউ। হুহু করে ছড়াতে শুরু করে সংক্রমণ। সংক্রমণ থেকে শিশুদের বাঁচাতে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেই তবে থেকেই স্কুলে ঝুলছে তালা। কোনও কোনও স্কুলে অনলাইন ক্লাস হলেও, বেশিরভাগ স্কুলেই তা হচ্ছে না। তাই বন্ধ স্কুলগুলিকে কাজে লাগাতে এবার উদ্যোগী হল সরকার।
{link}
বর্তমানে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও অন্য সমস্ত রাজ্যের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি না হলেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর তার সঙ্গেই ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিদিন গড়ে সংক্রমিত হচ্ছেন প্রায় হাজার কুড়ি মানুষ। হাসপাতাল-নার্সিংহোম-সেফহোম সর্বত্রই ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রব। অধিকাংশ মানুষই হাসপাতালে বেড পাচ্ছেন না, প্রান যাচ্ছে পরিষেবার অভাবে। তাই বাড়ানো প্রয়োজন সেফ হোমের সংখ্যা। সূত্রের খবর, সেই কারণেই স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করে সেফহোমে পরিণত করা হবে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বেসরকারি স্কুল নয়, আপাতত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকেই সেফহোমে পরিণত করা হবে। যদিও সেখানে ঠিক কী ধরণের পরিষেবা মিলবে, সে সম্পর্কে এখনও পরিস্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।
{link}
অন্যদিকে, চিঠি পাওয়ার পরেই জোর কদমে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কোন কোন স্কুলগুলিকে এখনই সেফহোমে পরিণত করা হবে তা জানা না গেলেও, দ্রুত যে সেখানে করোনা সংক্রমিতদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে, তা পরিষ্কার। সরকারের এই উদ্যোগে স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও মৃত্যুর হার কমবে বলে আশাবাদী কোভিড বিশেষজ্ঞেরা। এখন পরিস্থিতির উপর এই উদ্যোগের কি প্রভাব পরে তাই দেখার।
{ads}