শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পর জেল থেকে ফিরেছেন। ফিরে এসেই প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানতে চান, কেন তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তারপরেই সাংবাদিকদের সামনে মুখখোলা শুরু করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন তিনি সম্পূর্ণ নীরব! নাকতলার খানপুর রোডের যে আড়াই তলা বাড়িতে একরাত আগেই পার্থ-কোলাহলে যেন মেলা বসেছিল, সেই বাড়িতেই সান্নাটা! অর্থাৎ নেই কোলাহল, কালো গ্রিলের ফাঁকে সতর্ক প্রহরায় কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। মাঝে মাঝে কেউ দরজা খুলছেন, আবার অদৃশ্যও হচ্ছেন মুহূর্তেই! কিন্তু হলটা কী? সকাল হতেই এদিনও বাংলা এবং জাতীয় সংবাদমাধ্যমের আনাগোনা তখন শুরু হয়েছে। বাড়ির উল্টো দিকের অপেক্ষার চেয়ারে বসে সকলেই ভাবছেন এই বুঝি তিনি আসবেন! ওই যে দোতলার বারান্দায় দেখা মিলবে দাদার! অস্থিরতা বাড়ছে কর্মীদের মনেও। টেলিভিশন চ্যানেলে বসা তৃণমূলপন্থী এক অধ্যাপক থেকে শুরু করে এক সংবাদপত্রের প্রাক্তন প্রধান, সকলেই খবর পাঠাচ্ছেন, দেখা করতে চাই! কিন্তু তাঁর দেখা নেই!
{link}
কারও কোনও অনুরোধ তিনি আদৌ জানতে পারছেন কি পারছেন না, সেই প্রশ্নের আবহেও ‘পার্থদা’ কেমন যেন সকাল থেকেই বিলীন! কেন এই অবস্থা, আচমকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোথায় গেলেন? প্রায় ঘণ্টাকয়েক কাটানোর পর বাড়িতে এল একটি গাড়ি, তাতে ব্যবহৃত বহু জিনিসপত্রের ভিড়। সেই আওয়াজেও দেখা নেই তাঁর। একটু খোঁজ নিতেই জানা গেল, সকাল সকাল উঠেই নাকি তিনি বলেছেন, আজ কোনও কথা নয়! আর ওই বাড়ির কর্মীরা বলছেন, স্যরের শরীরটা খারাপ, বিশ্রামে আছেন! সেই কারণেই নাকি এক মিনিটের জন্যও তাঁর দেখা মেলেনি বাড়ির বারান্দা অথবা অতিপরিচিত অফিসেও। তাহলে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত কথা বলে ক্লান্ত! নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে চারিদিকে।
{ads}