header banner

মনুষ্যত্ব ভুলে মুনাফা লুঠ করার চেষ্টায় এক শ্রেণির মানুষ

article banner

বাঁচাতে হবে করোনা আক্রান্ত মরণাপন্নকে। উদভ্রান্তের মতো থাকা রোগীর আত্মীয়দের এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে রেমডেসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগ উঠল শহরে। প্রিন্টেড দামের চেয়ে ঢের বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। চড়া দামে করোনা রোগীর অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ রেমডেসিভির বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। বুধবার রাতে তাদের ডায়মন্ড হারবার থেকে  ধরে ফেলেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। 

{link}

এই চক্র বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে রোগীর পরিজনেদের ফাঁদে ফেলে রেমডেসিভির বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় রেমডেসিভিরের প্রতি ভায়ালের বাজারমূল্য ২,৭০০ টাকা। অথচ সেই ওষুধের এক-একটি ভায়াল বিক্রি করা হচ্ছিল ২৫ হাজার টাকায়। গড়িয়াহাটের শঙ্কর সিং নামে এক ব্যক্তি দাম শুনেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

{ads}

 সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে বুধবার রাতে ডামমন্ড হারবারে হানা দেয় গুন্ডা দমন শাখার লোকজন। অভিযোগ, ২৭০০ টাকার রেমডেসিভির এরা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রির চেষ্টা করছিল। ক্রেতা সেজে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে বাহিনীর লোকজন। ধৃতেরা হল রাজকুমার রায়চৌধুরী, দেবব্রত সাহু ও ইন্দ্রজিৎ সাহু। ধৃতদের কাছ থেকে ১৩২ কার্টন রেমডেসিভির মিলেছে। 

{link}

করোনা অতিমারীর সময় ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সব রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্র। তার পরেও চলছে কালোবাজারি। শুধু রেমডেসিভির নয়, ভিটামিন সি, অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ইত্যাদি নিয়েও উঠছে কালোবাজারির অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে ওই চক্রের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। 

{link}

শুধু এ রাজ্য নয়, কালোবাজারির চক্র সক্রিয় গোটা দেশেই। গত এক মাসে কেবল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২০০ জাল রেমডেসিভির ওষুধ। উল্লেখ্য, শুধু রেমডেসিভির নয়, ওষুধের পাশাপাশি, কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অপরিহার্য যন্ত্রাংশ ফ্লো-মিটার নিয়ে।

{ads}

Covid19 Corona Virus Corona Situation Medicine Black Market West Bengal 14th May India সংবাদ করোনা ভাইরাস

Last Updated :