header banner

কাজে লাগানো হয়নি বঙ্গ চাণক্যের বুদ্ধি

article banner

নির্বাচনী যুদ্ধে অংশ নিতে চাননি তিনি। চেয়েছিলেন পরামর্শদাতা হিসেবেই কাজ করে যেতে। তবে পদ্ম শিবির কথা শোনেনি। কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী করা হয় মুকুল রায়কে। কিন্তু জেতার পর কী করবেন BJP র 'চাণক্য'?
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গোড়ার দিকে কোনও পদ না-পেয়ে দলে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন মুকুল। এই মান-অভিমান এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, একটা সময় দিল্লিতে গিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক না-করেই চোখের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। দলে গুঞ্জন ছিল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর 'মধুর' সম্পর্কই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি করেছিল। গুঞ্জন শুরু হয়, তৃণমূলে ফিরতে পারেন মুকুল। এর পরেই তড়িঘড়ি করে তাঁকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়।

{link}

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়। তার পরেই তাঁকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। নিজস্ব দক্ষতায় মেরুদণ্ডহীন জেলায় গিয়ে বিজেপির সংগঠনকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন মুকুল। মুকুলের হাত ধরে সবুজ শিবির ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়তে থাকেন নানা স্তরের নেতা। 
মুকুলকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলও ফলেছিল হাতেনাতে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে চোখ ধাঁধানো সাফল্য পায় বিজেপি। দুই থেকে এ রাজ্যে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ১৮। আসন কমে যায় তৃণমূলের। 

{link}

এহেন ‘সাফল্যের কারিগর’ মুকুলকে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে সাইড করে দেয় বিজেপি। কৃষ্ণনগরের প্রার্থী করা হয় চাণক্যকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এতে দুটো উদ্দেশ্য সাধিত হয় গেরুয়া নেতাদের। এক, মুকুলকে নিজের কেন্দ্রেই ব্যস্ত রাখা হয়। আর দুই, কৌশলে তাঁকে প্রচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। যা করতে গিয়ে ধরাশায়ী হয় বিজেপি। 

{ads}
 

Mukul Roy Bjp Dilip Ghosh Election West Bengal 4th June India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :