header banner

সন্তান স্নেহে কালীপূজায় কালীঘাট

article banner

ভারতবর্ষ এমনই একটা দেশ যেখানে ধর্ম, ভাষা ,ঐতিহ্য একই সুত্রে বাঁধা ।দেশের ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা করা হয় ।উত্তর ভারতে ঠিক যেমন রয়েছে পুরুষ বা দেবতার প্রাধান্য, তেমনই পূর্ব ভারতে দিকে দেবী বা নারিশক্তির আরাধনা করার প্রাধান্য রয়েছে।পূর্ব ভারতে সন্তান জন্মগ্রহন করার পর তাকে কল্পনা করা হয় দেবী ষষ্ঠী রূপে, পাঠনকালে সে হয়ে ওঠে দেবী স্বরস্বতী আর যৌবনে সংসার ধর্ম পালনকালে সে হয়ে ওঠে দেবী দুর্গা বা কালী।আজ কালীপূজো আর কালীপুজোয় পুজো দেওয়ার কথা উঠলেই বাঙালি তথা হিন্দু স্বরনার্থীদের ভক্ত হৃদয়ে যে সকল মাতৃপীঠের কথা মাথায় আসে তার মধ্যে অন্যতম হল কালীঘাট।{ads}


একান্নটি শক্তিপীঠের অন্যতম হিন্দু তীর্থক্ষেত্র হল এই কালীঘাট। পুরানুসারে সতীর দেহত্যাগের পর তার ডান পায়ের চারটি(মতান্তরে একটি) আঙুল এই তীর্থে পতিত হয়েছিল। তীর্থের পীঠদেবী দক্ষিনাকালী এবং পীঠরক্ষক দেবতা হলেন নকুলেশ্বর। এই তীর্থের ইতিহাসও বহু প্রসিদ্ধ, লোকপ্রবাদ অনুযাই ব্রহ্মানন্দ গিরি এবং আত্মানন্দ ব্রহ্মচারী নামে দুই সন্ন্যাসী কষ্টিপাথরের একটি শিলাখন্ডকে দেবীর রূপ দেন।আদিগঙ্গার তীরে ১৮০৯ খ্রীষ্টাব্দে বড়িশার সাবর্ণ জমিদার শিবদাস চৌধুরি তার পুত্র রামলাল ও ভ্রাতুষ্পুত্র লক্ষীকান্তের উদ্যোগে নির্মান করা হয় বর্তমান মন্দিরটি।
তাই কালীপুজোয় প্রতি বছরেই কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে মন্দিরে।এইবছরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।শনিবার সকাল থেকেই কালিঘাটে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এইবছর করোনা বিধি সমস্ত বিধি মেনেই কালীঘাটে দর্শনার্থী প্রবেশ করাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মন্দিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিদ্যুৎ হালদার।তিনি আরো জানিয়েছেন এ বছর মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা না। দেওয়া যাবে না অঞ্জলী। তবে যারা এমনি কালীঘাট মন্দিরে আসছেন তাদের ২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং ৪ নম্বর গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ।পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এ বছর ভোগ হবে শুধুমাত্র মা কালী ও লক্ষী মায়ের জন্য ।দর্শনার্থীরা যদি চান তাদের হাতে দেওয়া হবে মায়ের ফুল। কিন্তু চরণামৃত দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু বারবার করে বলা সত্ত্বেও সকালে চোখে পড়ে কোনও সামাজিক দূরত্ব না মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন দর্শনার্থীরা, বেশ কয়েক জনের মুখে নেই মাস্ক।তবে মন্দিরে প্রবেশ করার সময় প্রত্যেক দর্শনার্থীর থার্মাল স্ক্রীনিং করা হচ্ছে। দর্শনার্থীরা সতর্ক থাকলেই করোনাও পরাজিত হবে আর তার সাথে মিলবে মায়ের আশীর্বাদে।{ads}
 

kalighat red light area kolkata kalighat aarti kalighat mandir kolkata kalighat kali puja kalighat kali puja 2019 kalighat sasan kali puja kali puja 2020 kali thakur kali puja covid situation covid si

Last Updated :