একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ঝুলিতে ভোটে ছিল শূন্য। আশা ছিল ভাবানীপুরের উপনির্বাচনে শূন্য থেকে ফিরে আসবেন। কিন্তু এই আশার শেষ প্রদীপটাও নিভে গেল বামেদের।তৃণমূলের হয়ে মমতা ব্যানার্জীর কাছে বিপুল ভোটে হারছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওাল। সেখানে বলতে গেলে ধরাশায়ী বাম শিবির। ভবানীপুর উপনির্বাচনে আক্ষরিক অর্থেই গোহারা বামেরা। এদিন মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলও বেরিয়েছে। ওই দুই কেন্দ্রে ছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর জোট ভেঙে গিয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। তিন কেন্দ্রের মধ্যে ভবানীপুরেই প্রার্থী ছিল বামেদের। সেখানেই কার্যত ধরাশায়ী বাম প্রার্থী।
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভোটে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেও যিনি সতীর্থ ছিলেন মমতার। শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁকে জায়গা দিতেই ইস্তফা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই কারণেই সেপ্টেম্বরের শেষ দিনে ভবানীপুরে হয়েছে উপনির্বাচন। ফল বের হল রবিবাসরীয় দুপুরে।
{link}
ভবানীপুরে বাম-কংগ্রেস জোটের ফর্মুলা অনুযায়ী প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে রাজি হননি। তাই প্রার্থী দেন বামেরা। কারণ বিনা যুদ্ধে তৃণমূলেক সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। প্রার্থী করা হয় তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে। মমতার কাছে গোহারা হারতে চলেছেন তিনি।
কেন এই হাল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে বামেদের অন্দরে। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম জমানায় যে অত্যাচার হয়েছিল গ্রামবাংলায়, তা এখনও ভোলেননি মানুষ। কোথাও লেবার স্ট্রাইক করে দেওয়া, কোথাও ভোটের আগে হুমকি চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া বিরোধীদের, কোথাও আবার বিরোধী কোনও ভোটারের মাঠের পাকা ধান কেটে নেওয়া, কোথাও আবার পৈত্রিক জমি লালঝান্ডা পুঁতে খাস ঘোষণা করে দেওয়ার ক্ষত এখনও ভোলেননি মানুষ। তাই আর বামেদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষ না হলে কি আর শূন্য হাতে ফিরতে হয় বামেদের। শূন্য থেকে ফিরে আস্তে বামরা বরশা করছেন এখন তরুন নেতা-নেত্রীদের উপর। তাই ভবানিপুরে প্রার্থী হন তরুন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে। কিন্তু তাও প্রদীপটা নিভে গেল বামেদের।
{ads}