কাবুলিওয়ালা ও কাবুলিওয়ালা তোমার ঝুলিতে কি আছে গো? কবিগুরুর এই লেখনির মধ্যেই রয়েছে আফগান সঙ্গে এই দেশের মানুষের প্রানের বন্ধন।বাঙালির মন ও মননের সঙ্গে আস্টে পিস্টে জরিয়ে আছে কাবুলিওয়ালা বা আফঘান দের সম্পর্কে ভালবাসা ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি।অনেক আফঘান যেমন ব্যাবসার জন্য এসেছেন এই ভারতবর্ষের মাটিতে আবার অনেক এ এসেছেন সপরিবার নিয়ে। আবার অনেক আফগান সন্তান জন্মেছে এই ভারতবর্শে। তেমনই কিছু জীবন যাপন করছেন পানাগড়ের হাকিব খান। গত এক দশক ধরে ভারতেই স্বপরিবারে থাকেন পানাগড়ের পাঠানপাড়ায়।
{link}Taliban
আফঘানিস্তানে থ্যাকার সময় চোখের সামনে দেখেছেন তালিবানি রাজত্ব। দেখেছেন তাদের নৃশংসতা, অত্যাচার। বর্তমানে তিনি ভারতের বাসিন্দা। থাকেন পানাগড় পাঠানপাড়ায়। ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে নিজের। সংসার পেতেছেন এই দেশেই। কাবুলে থাকা বাবা মায়ের কাছে তার অনুরোধ, তারা যেন নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখেন। বিগত বছর দশেক ধরে পানাগড়ের পাঠানপাড়া রয়েছেন হাকিব খান। একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। আফগানিস্থানে বিয়ে হওয়ার পরই, তিনি চলে আসেন ভারতে। তবে নতুন করে, দেশ তালিবানের দখলে চলে যাওয়ায়, গভীর দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে পরিবারটিকে। হাকিব খানের পরিবার ভারতে থাকলেও, তার বৃদ্ধ বাবা-মা এবং অন্যান্য পরিজনেরা রয়েছেন কাবুলে।
{link}
আফগানিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাকিব খান বলেছেন, দেশ আগেই ভালো ছিল। কোনও অশান্তি, সন্ত্রাস ছিল না। কিন্তু দেশ নতুন করে তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ায়, প্রতিটা মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে আফগানিস্থানে আর ফিরতে চান না হাকিব খান। ছোটবেলায় তিনি তালিবানি রাজত্ব দেখেছেন চোখের সামনে। তালিবানিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হতে হয়েছে তাদের। প্রাণ হাতে নিয়ে বাঁচতে হয়েছে। বর্তমান আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে যে ছবি তিনি দেখতে পাচ্ছেন, তা ভীষণ ভয়ঙ্কর। এয়ারপোর্টের ছবি দেখে তিনি আতঁকে উঠছেন বারবার।
এই দৃশ্য দেখবার হাকিব খান পর র কিছুতেই ফিরে জেতে চাইছেন না আফগানিস্তানে।থাকতে চান জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শান্ত এই ভারতবর্শের মাটিতে।
{ads}