অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকদিনের, তারপরেই মা আসবেন বঙ্গের ঘরে ঘরে। দুর্গাপুজো মানেই উৎসবের আনন্দ। কিন্তু রাজ্য বিজেপির শিবিরে কার্যত উল্টো ছবি। দুর্গাপুজো নিয়ে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে গেরুয়ার অন্দরে! অন্তত দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চান গত বছর শুরু হওয়া পুজো হোক এবারও। তবে দলের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ চান না এবার পুজো হোক।
{link}
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে চোখ ধাঁধানো ফল করে বিজেপি। ওই ভোটে দুই থেকে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ১৮। এর পরেই বাংলা দখলকেই পাখির চোখ করে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের পথ মসৃণ করতে বাঙালির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। সেই মতো শুরু হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাঁকজমক করে হয় সেই পুজো।
রবিবার ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর হঠাৎই খবর রটে যায়, এবার পুজো করছে না বিজেপি। তা নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। পরে দলের তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবারও ঘটা করেই পুজো হবে। পুজো বন্ধ করলে পাছে ভুল বার্তা যাবে, তাই পুজো করার সিদ্ধান্ত বিজেপি নেয় বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
{link}
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি পুজো করার পক্ষেই। এবারও নিয়ম মেনে হবে পুজো। তবে সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, বিজেপি ওই দুর্গাপুজোর আয়োজন করে না। ওখানে দুর্গাপুজো করার বিশেষ পক্ষপাতীও তিনি নন বলে জানান দিলীপ। যার ফলে বর্তমানে সদ্য পরিবর্তন হওয়া রাজ্যের দুই প্রধান মুখের মধ্যে এখন থেকেই দ্বন্দ্ব লেগে গেছে। সম্ভবত যা হয়ত রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা সুখবর খবর নয়।
{ads}