নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূমঃ কোথাওবা লেখা, ‘লাইন মারতে শিখুন’ আবার কোথাও,’লাইনে ঢুকুন দাদা!’ এহেন অবাক করা বিজ্ঞাপন ছেয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তা জানা যায়নি। শিবরাম চক্রবর্তীর গল্পে একই লাইনের দুই অর্থ প'ড়ে আমরা হাসি।এমন জোড়া মানেযুক্ত কথা বন্ধুমহলের ঠাট্টাইয়ার্কিতেও শোনা যায়। কিন্তু শহরজুড়ে যখন এহেন কথার ব্যানার পড়ে তখন মানুষ অবাক হয়, হাঁসবে না প্রতিবাদ করবে তাই বুঝতে সময় কেটে গিয়ে বিষম খেতে হয়। শিক্ষা আর রুচির সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
{link}
বেশ কয়েকদিন ধরে রাস্তায় চোখে লাগার মতো লাল রঙের হোর্ডিং। পথচলতি মানুষদের সহজেই চোখে পড়বে সেই সব দৃষ্টি আকর্ষণীয় করে লেখা। কী লেখা আছে তাতে?? তাতে সুস্পষ্ট সাদা হরফে লেখা "লাইন মারতে শিখুন", "লাইনে ঢুকুন দাদা"। বেশ কয়েকদিন ধরে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই সব লেখা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। দুবরাজপুর শহরের মূল বাসস্ট্যাণ্ডে এবং আশ্রম মোড় এলাকায় লাল রঙের বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। আর তাতেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। অবশ্য এই লেখা গুলো কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু কী ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা কারোর জানা নেই। এই লেখা গুলো যুব সমাজের দিকে একটি খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা। দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পাণ্ডেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এটা নিন্দনীয় কাজ। যাঁরা এটা করেছে খুব খারাপ কাজ করেছে। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে দুবরাজপুর থানার পুলিশকে দিয়ে এই ব্যানার গুলো খোলার ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি আরবাজ খান জানান, এরকম ভাবে ব্যানারে লেখাগুলো পড়ে যুব সমাজে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব এই ব্যানার গুলো খুলে নেওয়ার জন্য। অন্যদিকে তনুশ্রী গুপ্ত জানান, লাইন বলতে অনেক কিছুই বোঝায়। কিন্তু এরকম ভাবে লেখা উচিত হইনি। এটা কে বা কারা টাঙিয়েছেন বলতে পারবো না। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন নজর দিক।
{link}
এহেন ব্যানার এর পূর্বেও দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুজোর পূর্বে দেশপ্রিয় পার্কের, ‘এতো বড়ো সত্যি!’ বিজ্ঞাপনে, এবারেও কি এহেন বিজ্ঞাপনের পিছনে এরকমই কিছু চমকপ্রদ ও আকর্ষনীয় কিছু উঠে আসতে চলেছে? সেটাই দেখার বিষয়, তার পাশাপাশি পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহন করে সেই দিকটিও বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়।
{ads}