চায়না মাঞ্জা মানেই মৃত্যুর ফাঁদ। মূলত নাইলন সুতর উপরে কেমিকাল লাগিয়ে তৈরি হয় এই মাঞ্জা সুতো। মারাত্মক এই সুতোর ব্যাবহার সরকার থেকে নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা বিক্রির অভিযোগ ওঠে হাওড়া জগাছা থানা এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ধারসা থেকে গ্রেফতার করে ২ জনকে।
{link}
মঙ্গলবার রাতে বরুন সাহা(৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে আরও এক ব্যাক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বরুন সাহাকে বুধবার দুপুরে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে দুটি পৃথক গ্রেফতারির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত বরুনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮/৩৩৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে।
{link}
পুলিশ সুত্রের খবর, হাওড়ায় ১৭ আগস্ট ও ২২শে আগস্ট সাঁতরাগাছিতে চীনা মাঞ্জা জরিয়ে আহত হন ২ জন। তার কিছুদিন আগেই ২রা ও ১৬ই আগস্ট দ্বিতীয় হুগলীসেতুতে পরপর নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জায় আহত হন একাধিক ব্যাক্তি। বারেবারে এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশ। বিভিন্ন সোর্স মারফত পুলিশ জানতে পারে হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা। এরপর খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ধারসা গভর্মেন্ট কলনী থেকে বরুনকে গ্রেফতার করে জগাছা থানার পুলিশ। এরপরই বুধবার দুপুরে আরও নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা বিক্রির অভিযোগে ধারসা হরিসভা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। চিনা মাঞ্জা বিক্রি রোধে এমন অভিযান আরও চালান হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে।
{ads}