পরপর দু মাসে দু জনের মৃত্যু। কিন্তু প্রতিনিয়ত তো কতো মানুষেরই মৃত্যু ঘটে, তাতে এমন দুই-জনের সাথে সম্পর্ক কি? উল্লেখযোগ্যভাবে সম্পর্ক আছে। যে দুজন-এর মৃত্যু ঘটেছে তারা দুজনেই দিঘা বেড়াতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়েছিলেন। যে সংবাদ জানার পরেই টনক নড়ে খাদ্য দফতরের। বুধবার রাজ্য ফুড সেফটি দফতরের নির্দেশে যৌথ অভিযান চালায় জেলা ফুড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট ও স্বাস্থ্য দফতর।
{link}
দিন কয়েক আগেই দিঘায় বেড়াতে এসে কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বীরভূমের রামপুরহাটের এক কিশোরীর। এর ঠিক আগের মাসেই কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বেহালার এক পর্যটকের। দুজনেই আলাদা আলাদা দুটি রেস্তোরাঁয় কাঁকড়া খেয়েছিলেন। এর পরেই টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের। এদিন দিঘার বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলিতে দিঘা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালান খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও হোটেল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয় কাঁকড়া। এদিন বেশ কয়েকটি প্রজাতির কাঁকড়া সংগ্রহ করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। এই সব কাঁকড়া খেয়ে নাকি অ্যালার্জির কারণে মৃত্যু ঘটছে, তা-ই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
এদিন কয়েকটি রেস্তোরাঁকে নিয়মবহির্ভূতভাবে খাদ্য রাখার কারণে সতর্ক করা হয়। সমুদ্র সৈকতের পাশে গজিয়ে উঠেছে প্রচুর মাছ খাওয়ার দোকান। লাইসেন্স না থাকলে এই সব দোকানের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা। দিঘায় বছরভর পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ভিড় আরও বেড়েছে। শীতের ছুটি কিংবা পুজোর ছুটিতে ব্যাপক ভিড় হয় দিঘায়। এই সময় রাস্তার ধারে সমুদ্র সৈকতের মাছের কোনও কোনও দোকানে পচা মাছ বিক্রি হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সব খাবার খেয়ে পর্যটকেরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই এবার সেদিকে কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট।
{link]
এর পূর্বেও বহুবার সমুদ্রসৈকতের খাবার খেয়ে পর্যটকের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শোনা গেছে বহুবার। কিন্তু পরপ দুটি মৃত্যুর খবর শোনার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এই দিক থেকে ঘুরতে গিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভেসে ঠিক কি খাচ্ছেন… তা একটু দেখে খাওয়ার দায়িত্ব আপনারও। কিন্তু দিঘায় পর্যটকের নিরাপত্তা ফিরবে কি আদৌ? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
{link}