বেলডাঙা লালু ঢাকি কদর এখন দেশজুড়ে। পাড়ি দিচ্ছেন মুম্বই গায়ক অভিজিৎ এর ক্লাবে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাঁশচাতর গ্রামের বাসিন্দা লালু দাসের কদর এখন দেশজুড়ে। দুর্গাপূজো এলেই তার ডাক পরে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু সরকারী সাহায্য না পাওয়ায় আক্ষেপ আজও চিরকাল। যদিও কোভিড মহামারি পরিস্থিতিতে গত বছর কোথাও যেতে পারেননি ফলে আক্ষেপ ছিল তার। তবে এবছর বেলডাঙা লালু ঢাকি মুম্বইয়ের গায়ক অভিজিৎ ক্লাবে যোগদান করতে চলেছেন। তবে মাত্র দুইজন যাবে এবছর। যদিও আক্ষেপ অন্যান্য সদস্যরা যেতে না পারার জন্য।
{link]
ছোটবেলায় বাবার কাছেই তালিম মন্মথ দাসের। কিছুটা বড় হতেই মন্মথ দাস ও ধনপতি দাসের কাছে ঢাক বাজানোর শিক্ষা নেন তিনি। ১৯৮৬ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারত উৎসবে, রাশিয়ায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই শুরু হয় জীবন তারপর থেকে আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
{link}
কি নেই তাঁর ঝুলিতে? বড় বড় সন্মান, পুরস্কার, বিদেশ ভ্রমণ, গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ। এত কিছুর পরেও তাঁর আক্ষেপ, বর্তমান প্রজন্ম এই পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আর কেউ নন, বাংলার স্বনামধন্য ঢাকি লালু দাস।মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাঁশচাতর গ্রামের বাসিন্দা লালু দাসের বাবা-ঠাকুরদাও ঢাকি ছিলেন। ফলে ছোট থেকেই ঢাক বাজানোয় হাত পাকিয়েছেন তিনি। ছোটবেলায় বাবার কাছেই তালিম। কিছুটা বড় হতেই মন্মথ দাস ও ধনপতি দাসের কাছে ঢাক বাজানোর শিক্ষা নেন তিনি।
{link}
১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ের আরব সাগরের তীরের বাসিন্দাদের তাঁর বাদ্যে মশগুল করেন লালু দাস। তার পর থেকে প্রতি বছরই গায়ক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজোয় ডাক পড়ে তাঁর। ২০০৪ সালে হনলুলু অ্যাকাডেমি অফ আর্টস এর ডাকে যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। ২০০৬ সালে ভয়েস অফ বেঙ্গল অনুষ্ঠানে ভেল্কি দেখায় তাঁর ঢাক। ২০০৭ সালে পাড়ি দিয়েছিলেন সিডনি-সহ অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহর। এত গেল বিদেশের কথা। দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই যেখানে তিনি ঢাক বাজাতে যাননি। এ হেন প্রতিভাবান শিল্পীকে সারাটা বছর পেটের দায়ে টানতে হয় ভ্যান কিংবা রিক্সা। যদিও তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ দিন ছিল না। তবে কোভিড মহামারি পরিস্থিতিতে এক বছর পর তার টিম ছাড়াই তিনি রওনা দিচ্ছেন মুম্বইয়ে।
{ads}