নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া: নদীয়ার হাঁসখালি ধর্ষণ কান্ডের রেষ কাটতে না কাটতেই রানাঘাটে ঘটে গেল আরও একটি ধর্ষণ কান্ড। তবে এবার নাবালিকা নয়, বাড়ির গৃহবধূকে গণ ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠলো অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট আনুলিয়া সারদা পল্লী এলাকায়। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে কিছু ব্যাক্তি তাকে ধর্ষণ করে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায়।
{link}
স্থানীয় সুত্রের খবর, ওই গৃহবধূ পায়রাডাংগা এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার দুই সন্তান। কিন্তু সম্প্রতি তিনি রানাঘাটে তার বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। অভাবের সংসারে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য তিনি লোকের বাড়ি রান্নার কাজ করতেন। পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার কিছু ব্যাক্তি তাকে বাড়ি থেকে রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করে মাঝ রাতে গাড়ি করে তাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে দিয়ে যান। এরপর তার পরিবারের লোকেরা তাকে কল্যানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত তিনদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পর মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরেই পরিবারের সদস্যরা রাতারাতি ওই গৃহবধূর দেহ দাহ করে দেন। এরপর এই খবর এলাকায় ধীরে ধীরে চাউর হতে থাকে। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ছুটে আসে রাজ্য বিজেপির নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ সারথী চ্যাটার্জি এবং বিজেপি-র একাধিক নেতা কর্মীরা।
{link}
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, হাঁসখালির কান্ড এবার রানাঘাটে। তারা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা এও জানান এর মধ্যে শাসক দলের কেউ জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত করতে রানাঘাট থানায় তারা একটি অভিযোগ করবেন। অন্যদিকে এখবর শোনা মাত্রই ছুটে আসেন আনুলিয়া পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা বিশ্বাস সহ তৃণমুলের জেলা নেত্রী বর্নালী দে এবং দলের একাধিক কর্মীরা। তারাও এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। এক কথায় এই নির্মম ঘটনার নিন্দায় সরব ডান বাম সকলেই। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে দাঁড়িয়ে মৃত ওই গৃহবধুর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন সকলে। কিন্তু রাজনীতির রং লাগাতে ব্যাস্ত সব দল। রানাঘাট থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আপাতত অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্তে রানাঘাট থানার পুলিশ।
{ads}