header banner

হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন নদীয়ার রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়াঃ অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার, সেই কারণেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। তারা দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন নদীয়ার রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিবরণ দেন তিনি। 

{link}
সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার বলেন, গত ৫ তারিখে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য ছেলে মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীর বাড়িতে জন্মদিন অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এরপরে সন্ধ্যার পর সে বাড়ি ফিরে আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শেষ রাতে গ্রামের একটি ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে ফিরে দেখে নাবালিকার মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ সুপার বলেন পরিবারের সদস্যরা গোপন জবানবন্দিতে বলেছে ওই নাবালিকাকে এলাকার কয়েকজন যুবক তড়িঘড়ি শ্মশানে দাহ করেছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম পরিবারের তরফ থেকে আমাদের কাছে দেওয়া হয়েছে আমরা তদন্ত করে দেখছি কি কারনে কোনরকম ডেট সার্টিফিকেট ছাড়াই তড়িঘড়ি কেনো দাহ করে দেওয়া হলো নাবালিকা দেহ। তিনি বলেন ইতিমধ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সোহেল কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আবারো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল কি সম্পর্ক ছিল তার সঙ্গে কেবা জড়িত রয়েছে এই ঘটনায় আর সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে অভিযুক্তর কাছ থেকে।

{link}
উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও তিনি বলেছেন অভিযুক্তের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রেমের সম্পর্ক থাকলেই কি এহেনে পদক্ষেপ নেওয়া যায়? যেহেতু দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি সেই কারনে আদৌ শুধুমাত্র ধর্ষণ হয়ছে নাকি গনধর্ষন সেটিও নিশ্চিত নয়। একাধিক অভিযোগ উঠছে, যদিও স্পষ্টভাবে কিছুই যানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। পুলিশি তদন্ত যে বেশ জটিল হতে চলেছে তার অন্যতম কারন দেহের পোস্টমর্টেম না হওয়া। শেষ পর্যন্ত কি আদৌ শাস্তি পাবে দোষীরা?  
{ads}

news Haskhali Rape Case District police super reaction Ranghat Nadia West Bengal সংবাদ

Last Updated :