নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়াঃ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রতিশ্রুতি মত বেতন বঞ্চনা অবিলম্বে নিরসন করার দাবিতে, রাজ্যজুড়ে নার্সদের উপর নার্সিং এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে , সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো দেওয়ার সাথেসাথে ওষুধ ছাঁটাই না করার দাবিতে নার্সদের বিক্ষোভ হাওড়া হাসপাতালে। শুক্রবার 'নার্সেস ইউনিটি' হাওড়া শাখার পক্ষ থেকে হাওড়া হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান নার্সরা। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার সহ বিক্ষোভরত নার্সরা পরবর্তীতে তাঁদের দাবির সপক্ষে স্লোগান তুলে হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন। শেষে সুপারকে তাঁরা ডেপুটেশন দেন।
উল্লেখ্য, ডেপুটেশনে বলা হয় নার্সদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য বেতন বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি এই দায়িত্ব নেন বলে জানিয়েছিলেন। আদালতে মামলা চলে। ২০২১ সালের ২রা ডিসেম্বর আদালতে শুনানি হয়। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ একমাসের মধ্যে নার্সদের দাবি মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পরবর্তীতে ৩রা ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য্য হয়। কিন্তু এখনও তা হয়নি। অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে বা পাশকাটিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে বলে নার্সরা মনে করেন।
আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তাঁদের দাবি আদায়ের পথ বেছে নিয়েছেন নার্সরা।
{link}
তাঁদের দাবিগুলির সাথেসাথে অভিযোগ, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করায় সুকৌশলে নেতৃস্থানীয় নার্সদের বদলি করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্দোলন ভাঙার উদ্যেশ্যে। সেরকমই বদলি হওয়া নার্স মিলি ব্যানার্জি জানান, তিনি বদলি চাননি। কিন্তু কেন তাঁকে পি জি থেকে বদলি করে পাঁচলার গ্রামীনে পাঠানো হল তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেনা। সে বিষয়ে তাঁকে কোনো নির্দিষ্ট কারণও জানানো হয়নি বলে তাঁর দাবি।
সংগঠনের সহসম্পাদিকা সুরঞ্জনা মল্লিক জানান, অন্যান্য সেক্টরে ডিপ্লোমা হোল্ডাররা তাঁদের বেতন পরিকাঠামোর মর্যাদা পান।কিন্তু ডিপ্লোমা হোল্ডার হওয়া সত্বেও নার্সরা সেই বেতন পরিকাঠামো থেকে কেন বঞ্চিত? দাবি জানালে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে নার্সদের, হাসপাতালে জীবনদায়ি ওষুধ সরবরাহ কমে গেছে। রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে। রোগীর জন্য বাইরে থেকে সেই ওষুধ কিনতে গেলে রোগীর পরিবারের লোকের কাছে কথা শুনতে হচ্ছে।
অবিলম্বে তাঁদের দাবি না মেটানো হলে বৃহত্বর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নার্সদের।
{ads}